বগটুইকাণ্ডে অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করল সদ্য গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। —ফাইল চিত্র।
সিবিআই হেফাজতে বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করল সদ্য গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে গঠিত সিট-এর সাত সদস্যের নাম সোমবার দুপুরে রামপুরহাট এসিজেএম আদালতে জমা দেওয়া হয় সিট-এর পক্ষ থেকে। বিচারকের কাছে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের দু’টি অনুমোদনের আর্জিও জানানো হয়।
সরকারি আইনজীবী সুরজিৎ সিংহ জানান, সিটের তরফে পীযুষ লায়েক নামে এক সদস্য সোমবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিট গঠনের বিষয়ে কাগজপত্র জমা দেন। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন যে ঘর থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল, তালাবন্ধ সেই ঘরের তালা খোলা এবং পুনরায় বন্ধ করার অনুমোদন চেয়ে এ দিন বিচারকের কাছে আবেদন জানানো হয়। পাশাপাশি লালন-মৃত্যুর আগের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি যে সমস্ত ডিভিডি, হার্ড ডিস্ক আদালতে জমা দিয়েছিল, সেগুলি তদন্তের স্বার্থে সিটকে দেওয়ার জন্যও আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়।
সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘আগামী ১৭ মে ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে রামপুরহাট থানার মাঝখণ্ড মোড় সংলগ্ন সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের তালাবন্ধ ঘরের তালা খোলা এবং বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন এসিজেএম শৌভিক দে।’’
২০২২ সালের ২১ মার্চ বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের ঘটনার কিছু পরেই বগটুই গ্রামে ভাদু অনুগামীরা বেছে বেছে ভাদু বিরোধী দশটির বেশি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় ৯ জন মহিলা ও একজন পুরুষ সহ মোট ১০ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনার পরের দিন থেকেই ভাদু শেখের ছায়াসঙ্গী লালন শেখ এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। প্রায় ৯ মাস পরে ৩ ডিসেম্বর লালন শেখকে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থানার নরোত্তমপুর থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন ১২ ডিসেম্বর লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পরেই রামপুরহাট থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে কলকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। সিআইডি তদন্তের পরে গত ১ মে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনার সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।