ফোনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সাফল্যের খবর জানাচ্ছেন দ্বিতীয় সুষমা খাঁ। — নিজস্ব চিত্র।
বছর দুয়েক আগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় চতুর্থ হয়েছিলেন। মাধ্যমিকে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৯৪। বাঁকুড়া শহরের চাঁদমারিডাঙার ছাত্রী সেই সুষমা খাঁ এ বার ৪৯৫ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
ভুগোল অত্যন্ত পছন্দের বিষয় বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুষমার। তাঁর লক্ষ্য আগামিদিনে ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। সুষমার সেই ইচ্ছায় সায় রয়েছে তাঁর বাবা এবং মায়েরও। সুষমার বাবা লবকুমার খাঁ রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান বিভাগের কর্মী। পুরুলিয়ায় কর্মরত। মা উমা সামলান সংসার। দুই মেয়ের মধ্যে সুষমা ছোট।
ছোট থেকেই বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন সুষমা। সুষমার কথায়, ‘‘ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করেই সিভিল সার্ভিসে যাওয়ার ইচ্ছে আছে আমার। সে ক্ষেত্রে আমার প্রথম লক্ষ্য আইএএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। এই নম্বর আমি স্কুলের শিক্ষক, গৃহশিক্ষক এবং পরিবারের সকলকে উৎসর্গ করতে চাই। কারণ এত ভাল নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের প্রত্যেকের ভূমিকা অসামান্য।’’
সুষমার দিদি প্রিয়মা খাঁ প্রাণিবিদ্যা নিয়ে সাম্মানিক স্তরে পড়াশোনা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইউপিএসসিতে সাফল্য পেতে এখন থেকেই এগোতে শুরু করেছেন তাঁর বোন। প্রিয়মা বলেন, ‘‘আমার বোন সমাজমাধ্যমে নেই। ও নিয়মিত ডায়েরি লেখে। আবার পড়াশোনা করতেও খুব ভালবাসে। তবে সারা দিন পড়ে এমন নয়। যখন মন চায় তখন পড়ে।’’
উচ্চ মাধ্যমিকে বাংলা এবং ইংরিজি ছাড়াও সুষমার বিষয় ছিল, অঙ্ক, ভুগোল এবং দর্শন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দিদি প্রিয়মার সাহায্যও নিয়েছিলেন সে। প্রিয়মা বলেন, ‘‘আমাদের বোনে বোনে মারপিট খুব একটা হয় না। তবে পরীক্ষা দিয়ে এসে বোন বলেনি যে এত ভাল ফল হবে।’’