প্রতিবাদ বন্ধ হয়নি ফাইল চিত্র।
পড়ুয়া, কর্মী, অধ্যাপক বা আধিকারিকদের সঙ্গে মতের অমিল হলেই তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পথসভা করল এসএফআইয়ের বিশ্বভারতী লোকাল কমিটি। শান্তিনিকেতন পোস্টঅফিসের সামনে আয়োজিত এই পথসভায় জনা পঁচিশেক পড়ুয়া শামিল হন। প্রত্যেকের হাতে ছিল উপাচার্য-বিরোধী পোস্টার। কোথাও লেখা ‘শান্তিনিকেতনকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করুন’, আবার কোথাও লেখা ‘আঘাত যদি নেমে আসে পাল্টা আঘাত ফিরিয়ে দাও’।
প্রসঙ্গত, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়ে বিশ্বভারতীতে বেশ কয়েক জন পড়ুয়া, কর্মী, অধ্যাপক বা আধিকারিককে শো-কজ, সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিন ছাত্রছাত্রীকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। তা নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলন হয়েছে বিশ্বভারতীতে। অধ্যাপক, কর্মী ও পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, উপাচার্যের মত বা ইচ্ছার পরিপন্থী কোনও কাজ কেউ করলে ‘শাস্তির খাঁড়া’ নেমে আসছে তাঁর উপরে। যদিও উপাচার্য নিজের একাধিক বক্তব্যে বা লেখায় জানিয়েছেন, কোনও সাসপেনশন বা শো-কজের সিদ্ধান্তই তাঁর একার নেওয়া নয়, বরং তা সমবেত সিদ্ধান্ত।
গত কয়েক দিনে প্রথমে পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মানস মাইতিকে সাসপেন্ড করেছে বিশ্বভারতী। একই সঙ্গে আরও দুই অধ্যাপককে শো-কজও করা হয়েছে। দু’টি ক্ষেত্রেই কারণ হিসেবে উপাচার্য তথা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘বদনাম’ করার কথা উল্লেখ আছে। এসএফআইয়ের বক্তব্য, ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশে কর্তৃপক্ষ তথা উপাচার্যের কোনও সিদ্ধান্তের বিরোধিতা স্বাভাবিক ঘটনা, তাতে কোনও ভাবেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বদনাম করা হয় না। এ দিনের পথসভায় উপস্থিত পড়ুয়া তথা এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটির সদস্য সোমনাথ সৌ বলেন, “কয়েক জনকে শাস্তির মুখে ফেলে গোটা ক্যাম্পাসে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। যাতে ভবিষ্যতে প্রতিবাদের পথ বন্ধ করে দেওয়া যায়। কিন্তু প্রতিবাদ বন্ধ হয়নি, বরং আরও বেড়েছে। এই ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা বন্ধ না হলে তা আরও বাড়বে।”