Murder In Rehab Center

নেশামুক্তি কেন্দ্রে পিটিয়ে মারার অভিযোগ যুবককে, আটক ৪

খবর পেয়ে এ দিন পাড়ুই ও শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ তদন্তে আসে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে। পরিবারের অভিযোগ, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের কারণেই আশিকের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:৫৬
Share:

নেশামুক্তি কেন্দ্রে তদন্তে পাড়ুই ও শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।

নেশার কবল থেকে মুক্ত করতে যে নেশামুক্তি কেন্দ্রের উপরে ভরসা রেখেছিল পরিবার, সেই কেন্দ্রেই রোগীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে শান্তিনিকেতন থানার উত্তর নারায়ণপুর এলাকায়। ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম আশিক আহমেদ (২৬)। তাঁর বাড়ি পাড়ুই থানা এলাকার পলাশি গ্রামে। তিনি ছিলেন পঞ্চায়েতের চতুর্থ শ্রেণির অস্থায়ী কর্মী। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আশিক বিভিন্ন ধরনের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। সেই নেশার পথ থেকে তাঁকে সরিয়ে আনতে পরিবারের লোকজন সপ্তাহখানেক আগে উত্তর নারায়ণপুরের একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করান। পরিবারের দাবি, কয়েক দিন সেখানে থাকার পরে এ দিন বেলার দিকে নেশামুক্তি কেন্দ্রেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবক। তাঁকে বোলপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, আশিকের মৃত্যু হয়েছে।

খবর পেয়ে এ দিন পাড়ুই ও শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ তদন্তে আসে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে। পরিবারের অভিযোগ, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের কারণেই আশিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের দাদা সোহেল আক্তার বলেন, “আমার ভাই প্রচণ্ড পরিমাণে নেশা করত। তাই তাঁকে ভাল করার জন্য এখানকার নেশামুক্তি কেন্দ্রে দিয়েছিলাম। কিন্তু ভাইকে অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়েছে। ওর গায়ে একাধিক আঘাতকে চিহ্ন রয়েছে। আমরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। একই সঙ্গে দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, এই নেশামুক্তি কেন্দ্রে এর আগেও রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ দিনের ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই সমস্ত গজিয়ে ওঠা নেশামুক্তি কেন্দ্রের অনুমোদন নিয়ে। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয়েরাও। প্রশাসনের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, জেলায় যে সব নেশামুক্তি কেন্দ্র চলছে, সেগুলির কোনটাই সরকারি অনুমোদিত নয় বা সরকারি অর্থ সাহায্যে চলে না। এই কেন্দ্রগুলি চলছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার নামে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়েছি। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের সঙ্গে জড়িত চার জনকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে নেশামুক্তি কেন্দ্রের বৈধ কাগজপত্র ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক পার্থ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘বিষয়টি এখনও পর্যন্ত আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement