Passenger Train

Visva Bharati Fast Passenger: চালু বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার, স্বস্তি বহু যাত্রীর

হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে রামপুরহাট পর্যন্ত বিভিন্ন এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হলেও বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার চালু করেননি পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২১ ০৭:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি

নানা টালবাহানার পরে অবশেষে রামপুরহাট-হাওড়া বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হল। রবিবার থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে বিকেলে হাওড়া থেকে ছাড়ে বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার। ট্রেনটিকে রামপুরহাট স্টেশনে আনার জন্য এখানকার রেলকর্মীদের হাওড়া পাঠানো হয়েছিল। দীর্ঘদিন পরে সোমবার ভোরে নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। সকাল সকাল কলকাতা পৌঁছনোর জন্য সবচেয়ে ভাল এই ট্রেনটি চালু হওয়ায় স্বস্তিতে বীরভূম জেলার নিত্যযাত্রীরা।

Advertisement

অতিমারি পরিস্থিতিতে হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে রামপুরহাট পর্যন্ত বিভিন্ন এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হলেও বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার চালু করেননি পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা স্তিমিত হওয়ার পরে মাস চারেক আগে স্পেশাল ট্রেনের তকমা দিয়ে রামপুরহাট-হাওড়া ময়ূরাক্ষী এক্সপ্রেস চালু হলেও বিশ্বভারতী ফাস্ট চালু করা হয়নি। এ বছর ৭ মে থেকে ওই ট্রেন বন্ধ ছিল। জেলার নিত্যযাত্রীরা ট্রেনটি চালু করার দাবি জানাচ্ছিলেন। অবশেষে এই রুটের গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনটি চালু হওয়ায় রামপুরহাট ছাড়াও মুরারই, মাড়গ্রাম, নলহাটি এবং লাগোয়া মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানা এলাকার বাসিন্দাদের বড় অংশ উপকৃত হবেন। রামপুরহাটের দিলীপ কেশরী, কল্যাণ বর্মণ, মুরারইয়ের জগন্নাথ দত্ত, মহম্মদ আলিরা বলেন, ‘‘এই ট্রেন দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে হাওড়া যাতায়াতে খুবই ভোগান্তি এবং হয়রান হতে হচ্ছিল। আবার চালু হওয়ায় কলকাতা যাতায়াতে অনেক সুবিধা হবে।’’

Advertisement

লোকাল চালু হতেই চায়ের ভাঁড় তৈরি আমোদপুরে। নিজস্ব চিত্র।

হাওড়া ডিভিশনের রেলওয়ে ইউজার্স কনসালটেটিভ কমিটির সদস্য মহম্মদ নিয়ামতুল্লাহ বলেন, ‘‘বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার আমাদের এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেন। ওই ট্রেনে নিত্যযাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে হাওড়া পৌঁছে তাঁদের কাজ দিনে দিনে সেরে বাড়ি ফিরতে পারেন। ট্রেনটি চালু করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে টালবাহানা চলছিল।’’ তিনি জানান, বর্তমানে সংরক্ষিত টিকিট কেটে ওই ট্রেনে যাতায়াত করতে হচ্ছে। আগামী দিনে যাতে ট্রেনটির তিনটি কামরা সংরক্ষিত রেখে বাকি কামরাগুলি সাধারণ যাত্রীদের জন্য চালু রাখা হয়, তার দাবি জানাবেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement