School

বাগান বাঁচিয়ে রাখতে স্কুলে চেষ্টা শিক্ষকদের

স্কুল চত্বরে রয়েছে কলা, পেঁপে, পেয়ারা ও নানা আনাজ, ফল ও ফুলের গাছ। স্কুলের ছাদেও বছর দু’য়েক হল ‘পুষ্টি উদ্যান’ গড়ে উঠেছে। শীতে বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলো, লঙ্কা, পেঁয়াজ, বেগুন, শিম, কুমড়ো, পুঁই প্রভৃতি চাষ হয়ে আসছে। পাশাপাশি, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ফুল চাষও হয়।

Advertisement

সমীর দত্ত

বরাবাজার শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২০ ০৩:১৯
Share:

গাছের পরিচর্যা। নিজস্ব চিত্র।

স্কুলের ছাদ-বাগানে যা আনাজ হয়, তাতে রোজ দুপুরের রান্নার চাহিদা অনেকটাই মিটে যায়। গত আট মাস ধরে স্কুল বন্ধ রয়েছে। মিড-ডে মিল রান্নার বালাই নেই। নিয়মিত পরিচর্যা ও জল না মেলায় বাগানের গাছ মরতে বসেছিল। শিক্ষকরা পালা করে কয়েকমাস ধরে পরিচর্যা করে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুরুলিয়ার বরাবাজার ব্লকের লাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।

Advertisement

জেলায় প্রাথমিক স্কুলগুলির মধ্যে লাকা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচিত নাম। পড়ুয়া রয়েছে প্রায় একশো। স্কুল চত্বরে রয়েছে কলা, পেঁপে, পেয়ারা ও নানা আনাজ, ফল ও ফুলের গাছ। স্কুলের ছাদেও বছর দু’য়েক হল ‘পুষ্টি উদ্যান’ গড়ে উঠেছে। শীতে বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলো, লঙ্কা, পেঁয়াজ, বেগুন, শিম, কুমড়ো, পুঁই প্রভৃতি চাষ হয়ে আসছে। পাশাপাশি, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ফুল চাষও হয়।

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শরৎচন্দ্র প্রামাণিক জাতীয় শিক্ষকের সম্মান পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘করোনা সংক্রান্ত সতর্কতায় গত কয়েকমাস ধরে স্কুল বন্ধ। খোলা থাকাকালীন পড়ুয়াদের সাহায্যে নিয়মিত গাছের পরিচর্যা ও জল দেওয়া হত। লকডাউন ঘোষণা হওয়ার কয়েক দিন পরে স্কুলে গিয়ে দেখি, জল না পেয়ে প্রায় সমস্ত গাছ নেতিয়ে গিয়েছে। স্কুল চত্বর আগাছায় ভরে উঠেছে।’’ পার্শ্বশিক্ষক-সহ ওই স্কুলে মোট পাঁচ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। শিক্ষক অমিত চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাদের একটু দূরে বাড়ি। মাঝেমধ্যেই স্কুলে যাই। তবে পরিচর্যার মূল দায়িত্বটাই প্রধানশিক্ষক নিজের কাঁধে নিয়েছেন।’’

Advertisement

লাকা গ্রামের বাসিন্দা চঞ্চল মাহাতো ও সরোজ মাহাতো বলেন, ‘‘একদিন স্কুলের পাশ দিয়ে যেতে গিয়ে দেখি মাস্টারমশাই আগাছা সাফ করে গাছের গোড়ায় জল দিচ্ছেন। আমরাও এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র । ওই দিন থেকে মাঝেমধ্যে এসে হাত লাগাই।’’ বিদায়ী বিডিও (বরাবাজার) শৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘লাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ-বাগানের আনাজ দেখার মতো। এই উদ্যোগ খুবই ভাল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement