দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া স্কুলভ্যান। —নিজস্ব চিত্র।
স্কুলভ্যানের সঙ্গে যাত্রিবাহী চারচাকার গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষার। দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে স্কুলভ্যানে থাকা ছয় পড়ুয়া। স্কুলভ্যানটির চালকও আহত হয়েছেন। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বন কামারপুকুর মোড়ের কাছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়া মহিলার নাম রুমা বিশ্বাস। বয়স ৩০ বছর। বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের জুজুড় এলাকা থেকে বিষ্ণুপুরের একটি বেসরকারি স্কুলে যাচ্ছিল স্কুলভ্যানটি। কয়েক জন পড়ুয়া ছাড়াও ওই গাড়িটিতে ছিলেন অধ্যক্ষা রুমা। আরামবাগ-বিষ্ণুপুর সড়ক ধরে বিষ্ণুপুর শহরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে স্কুলভ্যানটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উল্টো দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে এসে একটি গাড়ি ধাক্কা মারে স্কুলভ্যানে। সংঘর্ষের তীব্রতায় স্কুলভ্যানটির সামনে অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। স্কুলভ্যানের ভিতরে আটকে ছিলেন অধ্যক্ষা এবং পড়ুয়ারা। স্থানীয়েরা তাঁদের উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। অন্য গাড়িটির ক্ষতি হলেও চালক বা যাত্রীদের কেউ আহত হয়েছেন কি না, জানা যায়নি।
স্থানীয়েরা স্কুলভ্যানের চালক, অধ্যক্ষা এবং পড়ুয়াদের উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় অধ্যক্ষার। পড়ুয়াদের আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি স্কুলটির সম্পাদক অসীম বিশ্বাস জানান, ২০১৬ সাল থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্কুলভ্যানটি চলছে। জয়পুরের জুজুড় থেকে পড়ুয়াদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া হত ওই গাড়িটিতে। স্কুলের অধ্যক্ষাও ওই গাড়িতে যাতায়াত করতেন। বুধবার স্কুলে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা হয়।
অধ্যক্ষার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে স্কুলের সম্পাদক বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার তদন্ত করুক পুলিশ।’’ অন্য দিকে, মৃতার শ্বশুর সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমার পুত্রবধূ গত ৫ বছর ধরে একটি স্কুলে অধ্যক্ষার চাকরি করছিলেন। স্কুলের গাড়িতেই কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করতেন। আজও স্কুলে যাওয়ার জন্য সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কী থেকে যে কী হয়ে গেল!’’ বলেই দীর্ঘশ্বাস ফেলেন বৃদ্ধ।