Coronavirus

কেন্দ্র দেখভালে স্কুল পরিদর্শকরা

ওই বৈঠকে জেলার তিন মহকুমার মহকুমাশাসকরা ছাড়াও জেলার স্কুল শিক্ষা দফতরের মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক দুই স্তরের জেলা স্কুল পরিদর্শকরা সহ সমস্ত আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২০ ০৪:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি

জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রাতিষ্ঠানিক নন হোম কোয়রান্টিন কেন্দ্রগুলি দেখভালের কাজে যুক্ত করা হল জেলার অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের। এই ব্যাপারে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের ঠিক কী কাজ হবে তাই নিয়ে শনিবার সিউড়িতে দুটি পর্যায়ে বৈঠক হয়। প্রথম পর্যায়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে জেলার ৩২টি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ২২ জন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ)।

Advertisement

ওই বৈঠকে জেলার তিন মহকুমার মহকুমাশাসকরা ছাড়াও জেলার স্কুল শিক্ষা দফতরের মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক দুই স্তরের জেলা স্কুল পরিদর্শকরা সহ সমস্ত আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ ভবনের সভাকক্ষে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠক করেন সংসদ চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রাতিষ্ঠানিক নন হোম কোয়রান্টিন কেন্দ্রের জন্য শনিবার পর্যন্ত জেলার ১৯টি ব্লকের ৩৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা জেলা প্রশাসন চূড়ান্ত করেছে। ভবিষ্যতে এই তালিকা আরও বাড়তে পারে বলে প্রশাসনিক আধিকারিকরা মনে করছেন।

ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৬৭৫টি কক্ষে ২২ হাজার শয্যা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মূলত ৩৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিযায়ী শ্রমিকদের নন হোম কোয়রান্টিন কেন্দ্রগুলি যাতে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালিত করার বিষয়টি দেখভাল করার কাজ হবে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের। এক জন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধীনে চার-পাঁচটির বেশি প্রাতিষ্ঠানিক নন হোম কোয়রান্টিন কেন্দ্র দেখভাল করার দায়িত্ব থাকবে।

Advertisement

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান সভাপতি প্রলয় নায়েক জানান, প্রশাসনিক স্তরে এসডিও, বিডিও অফিসের সমস্ত কর্মীরা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছেন। স্কুল পরিচালনার কাজে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক থেকে সহকারী স্কুল পরিদর্শকরা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। সেক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক নন হোম কোয়রান্টিন কেন্দ্রগুলি নিয়ন্ত্রণ করা এসআই বা এআইদের পক্ষে সুবিধা। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান সভাপতি জানান, জুন মাসের ৪, ৫ ও ৬ তারিখ জেলার প্রত্যেকটি স্কুল গুলিতে মিড ডে মিলের চাল-আলু বিলি করা হবে। সেক্ষেত্রে যে সমস্ত স্কুলে নন হোম কোয়রান্টিন কেন্দ্র খোলা হবে সেই সমস্ত স্কুল গুলিতে চাল আলু বিলি করা হবে না। সেক্ষেত্রে বিকল্প জায়গা দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement