টোটো চালিয়ে প্রচার শতাব্দীর

ডান পায়ে ধীরে ব্রেক কষে ধরলেন। গাড়ি থামল। সারিবদ্ধ মহিলাদের কাছে অনেক আগেই খবর ছড়িয়ে গিয়েছে তিনি নিজে টোটো চালিয়ে ওয়ার্ডে ঘুরছেন। গাড়ি কাছে আসতেই মহিলার ভিড় জমালেন। হাত বাড়ালেন। ভিড়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া গাড়ির ক্ল্যাচ থেকে হাত দুটো সরে গিয়ে জোড়হাত করলেন তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়। হাসি মুখে বাড়িয়ে দেওয়া হাত মিলিয়ে আবার গাড়ি চালানো শুরু করলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৫১
Share:

ভয় কাহারে। রামপুরহাটে প্রচারে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের টোটো-চালনা। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।

ডান পায়ে ধীরে ব্রেক কষে ধরলেন। গাড়ি থামল। সারিবদ্ধ মহিলাদের কাছে অনেক আগেই খবর ছড়িয়ে গিয়েছে তিনি নিজে টোটো চালিয়ে ওয়ার্ডে ঘুরছেন। গাড়ি কাছে আসতেই মহিলার ভিড় জমালেন। হাত বাড়ালেন। ভিড়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া গাড়ির ক্ল্যাচ থেকে হাত দুটো সরে গিয়ে জোড়হাত করলেন তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়। হাসি মুখে বাড়িয়ে দেওয়া হাত মিলিয়ে আবার গাড়ি চালানো শুরু করলেন।

Advertisement

এ ভাবেই মঙ্গলবার সকালে রামপুরহাটে ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে অলিগলিতে টোটো চালিয়ে অভিনব প্রচার চালালেন শতাব্দী। ঘণ্টাখানেক নিজে চালকের পাশে বসে ওই টোটার সওয়ারি হলেন বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর শতাব্দী যাঁদের হয়ে প্রচারে নামলেন, সেই প্রার্থীরাও টোটোয় তাঁর যাত্রী ছিলেন। সোমবারই দলের প্রচারে এসে বিভিন্ন সভায় লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রতি মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ার জন্য রামপুরহাটবাসীর কাছে অভিমান প্রকাশ করেছিলেন শতাব্দী। মঙ্গলবার সকালে সেই শতাব্দীকেই দেখা গেল এক দম ভিন্ন মেজাজে। পরে সাংবাদিকদের বললেন, ‘‘খুব ভাল লাগল। বীরভূমে এসে টোটো চালানোরও অভিজ্ঞতা হল। আসলে ওরা বলল, আমাকে গাড়িতে চেপে ঘুরতে হবে।আমিই বললাম চলো আমিই গাড়ি চালাবো!’’ কোনও সিনেমাতেও কি এ ভাবে গাড়ি চালিয়েছেন নাকি? হাসি মুখে শতাব্দী বলেন, ‘‘টোটো তো আজকে উঠেছে। একটা সিনেমায় আমি অটো চালিয়েছিলাম।’’ শতাব্দীকে চালকের ভূমিকায় দেখে খুশি দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। অন্য দিকে, টোটোর মালিক, শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বান্টি খান জানালেন, সাংসদ গাড়ি চালাতে কোথাও কিন্তু ভুল কিছু করেননি। পাকা চালকের মতোই সাবলীল ভাবে টোটো চালিয়েছেন!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement