ফুল্লাইপুর গ্রামে শতাব্দী রায়। — নিজস্ব চিত্র।
আবারও বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। রবিবার ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বীরভূমের মহম্মদবাজারের ফুল্লাইপুর এলাকায় তৃণমূল সাংসদের গাড়ি থামিয়ে জলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীদের কয়েক জন। শতাব্দী স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই দাবি মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এই বিক্ষোভের নেপথ্যে বিজেপির হাত রয়েছে বলে ইঙ্গিত করেন তিনি। এ নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন বীরভূমের বিজেপি নেতারা।
রবিবার ‘দিদির দূত’ হয়ে মহম্মদবাজার সফরে গিয়েছিলেন শতাব্দী। কিন্তু ফুল্লাইপুর এলাকায় তাঁর গাড়ি আটকে দেন ওই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। সাংসদের গাড়ি থামতেই তাঁরা উত্তেজিত স্বরে কথা বলতে থাকেন। পানীয় জল, সেচের জলের দাবি জানান তাঁরা। ওই জটলায় থাকা সুবল পাল নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে পানীয় জলের পরিস্থিতি খারাপ। আমরা জল, স্বাস্থ্য এবং চাষের সুবিধা চাই।’’ ফুল্লাইপুরের বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন সাংসদ। গ্রামবাসীদের দাবি মেটানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর পর শতাব্দী পৌঁছন মহম্মদবাজারেরই চড়িচা পঞ্চায়েতের বিরুপুর গ্রামে। সেখানকারী গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ওই গ্রামের বাসিন্দারাও জলসেচ এবং স্থানীয় শিবমন্দির সংস্কারের দাবি তোলেন। তা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন শতাব্দী। ফুল্লাইগ্রামে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর কথা মানতে নারাজ তৃণমূল সাংসদ। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘ওখানে বিজেপির পতাকা উড়ছে। তার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। তার ফলে ওঁদের সুর অন্য।’’
শতাব্দীর এই মন্তব্য নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বীরভূমের গেরিয়া শিবিরের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘মানুষের ক্ষোভ দেখলেই এখন তৃণমূল বিজেপির ভূত দেখতে পাচ্ছে। এতে আর কী করা যাবে। এই সমস্ত কিছুর উত্তর সাধারণ মানুষই দেবেন।’’ এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি বীরভূমেরই হাসন বিধানসভার মেলেরডাঙা গ্রামে গিয়েছিলেন শতাব্দী। সেখানে বীরভূমের সাংসদের গাড়ি আটকে রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা।