সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র।
কর্মী-সমর্থকদের সাহস জোগাতে জীবনে প্রথমবার লড়তে নেমেছিলেন বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি (বোলপুর) সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল। সেই প্রথম লড়াইয়েই বাজিমাত করে কর্মী-সমর্থকদের কাছে ‘রোল মডেল’ হয়ে উঠেছেন তিনি।
এখন কীর্ণাহার হাইস্কুলপাড়ার বাসিন্দা হলেও তাঁর বাড়ি কীর্ণাহার ২ পঞ্চায়েত এলাকার ফেউগ্রামে। ১৯৮২ সালে আরএসএসের প্রচারক হিসেবে সাংগঠনিক কাজ শুরু করেন। ২০১৪ সালে সরাসরি যোগ দেন বিজেপিতে। একবার দলের জেলা সম্পাদক, দু'বার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলানোর পর গত বছর তিনি বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মনোনীত হন। এ বারে কীর্ণাহার ২ পঞ্চায়েতের ১৫ নম্বর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন তাঁর গাড়ি আটকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কীর্ণাহার ২ ও দাসকলগ্রাম-কড়েয়া ১ পঞ্চায়েতের মোট ৮ টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৫টিতে জেতে বিজেপি। তার মধ্যে ৮০ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থীকে হারান সন্ন্যাসীচরণ। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের সন্ত্রাসের ভয়ে অনেকে প্রার্থী হওয়ার সাহস পাচ্ছিল না। তাদের ভয় ভাঙাতেই আমাকে প্রার্থী হতে হয়।’’