অবস্থান: স্কুলের উঠোনে প্রতিবাদী পড়ুয়ারা। দেড়িয়াপুরে। নিজস্ব চিত্র
সহকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিলেন এক শিক্ষক। তাঁকে ফেরানো ও অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়া, অভিভাবক এবং গ্রামবাসীদের একাংশ। বুধবার ঘটনাটি ঘটে সাঁইথিয়ার দেড়িয়াপুর অঞ্চল হাইস্কুলে।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে ১৬ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। তিনি বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনি নামে একটি সাংস্কৃতিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। সেই সুবাদে বিভিন্ন সরকারি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র থাকলে ওই সব অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের সবেতন ছুটি মেলে।
অভিযোগ, তা নিয়ে স্কুলের তিন শিক্ষক উজ্জ্বলবাবুর সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেন। ওি শিক্ষকের নালিশ, তার জেরে স্কুলে তাঁকে কার্যত ‘একঘরে’ থাকতে হয়। টিচার্স রুমের পরিবর্তে তাঁকে বসতে হয় আলাদা ঘরে। উজ্বলবাবু বলেন, ‘‘আমি বলেছিলাম সরকারি নিয়মে ওই সব অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য সবেতন ছুটি না পেলে তা লিখিত ভাবে জানিয়ে আমার বরাদ্দ ছুটি বা বেতন কেটে নেওয়া হোক। কিন্তু স্কুলের কয়েক জন তা না করে আমার সঙ্গে নানা ভাবে দুর্ব্যবহার করেন।’’ তাঁর অভিযোগ, স্কুলের শৃঙ্খলারক্ষায় প্রতিবাদ না করে টির্চাস রুমের পরিবর্তে একাই অন্য ঘরে বসেন। কিন্তু তাতে ‘অপমান’ কমেনি। সেই কারণে গত শনিবার স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি ইস্তফাপত্র জমা দেন।
সেই খবর ছড়াতেই এ দিন ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের একাংশ স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান।
ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক বিশ্বজিৎ ঘোষ এ নিয়ে বলেন, ‘‘দুর্ব্যবহার নয়, উজ্জ্বলবাবুর সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। দু’পক্ষকে মুখোমুখি বসিয়ে তা মিটিয়ে নেওয়া হবে।’’ স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি পীযূষ পাল জানান, পরিচালন সমিতির বৈঠক ডেকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।
জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সুজিত সরকার বলেন, ‘‘সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিলে শিক্ষকদের সবেতন ছুটি পাওয়ার কথা। তবে কাগজপত্র না দেখে এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’’