Begunkodor Station

স্টেশনে ফের ভূতের গুজব

১৯৬০ সালে কোটশিলা-মুরি শাখায় বেগুনকোদর স্টেশনটি তৈরি হয়। কিন্তু আশপাশে বসতি না থাকায় এই ছোট্ট স্টেশনটিকে ঘিরে কারা যেন ভূত রয়েছে বলে রটিয়ে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:২২
Share:

বেগুনকোদর স্টেশন। —ফাইল চিত্র।

ভূত চতুর্দশী আসতেই সমাজমাধ্যমে ভূতেদের সঙ্গে বেগুনকোদর স্টেশনের নাম জড়িয়ে চর্চা শুরু হওয়ায় বেজায় চটেছেন স্থানীয়েরা। স্টেশনের বদনাম ঘোচাতে আসরে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। ওই স্টেশনে ভূতদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে তারা। না পারলে এ নিয়ে ব্যবসা করার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়েছে।

Advertisement

১৯৬০ সালে কোটশিলা-মুরি শাখায় বেগুনকোদর স্টেশনটি তৈরি হয়। কিন্তু আশপাশে বসতি না থাকায় এই ছোট্ট স্টেশনটিকে ঘিরে কারা যেন ভূত রয়েছে বলে রটিয়ে দেয়। চালুর সাত বছরের মধ্যেই স্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের অনুরোধে তৎকালীন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়ার তৎপরতায় ২০০৭ সালে ফের চালু হয় বেগুনকোদন স্টেশন। আগে রাতে কোন ট্রেন থামত না। এখনও শেষ ট্রেন থামে রাত ৯-২৬তে।রাতে শঙ্কর কুমার নামে এক নৈশপ্রহরী থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘রাতে স্টেশনে কোনও অস্বাভাবিক কিছু দেখিনি।’’

কিন্তু বেগুনকোদরের নামের সঙ্গে ভূত জুড়ে চর্চা থামেনি। ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইটে বেগুনকোদর স্টেশনের ভিডিয়ো ছড়ানো হচ্ছে। ২০১৭ সালে ডিসেম্বরের একরাতে বিজ্ঞানমঞ্চের সদস্যেরা ওই স্টেশনে রাত কাটিয়ে সবার আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করেন। তারপর থেকে গুজব কিছুটা থিতোয়।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক নয়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বেগুনকোদর স্টেশন ঘিরে গুজব সরিয়ে ছন্দে ফিরছিল ওই জনপদ। কিন্তু ভূত চতুর্দশী আসতেই ফের কিছু লোকজন ওই স্টেশনে গেলে ভূত দেখা যায় বলে রটনা শুরু করেছেন। সমাজমাধ্যমেও চর্চা চলছে। গুজবে বিশ্বাস করে পর্যটকেরা বেগুনকোদর স্টেশন দেখতে আসছেন। অনেকে ভূত দেখা যায় কি না, ফোন করে জানতে চাইছেন। ফের দেখছি সেই একই ভাবে গুজব ছড়াচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement