Bank Robbery

ফের দুষ্কৃতী-হানা ব্যাঙ্কে, তবে ভল্ট অক্ষত এ যাত্রাও

পুলিশের সঙ্গে তিনি জানালা দিয়ে ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢোকেন। অমিত বলেন, ‘‘ম্যানেজারের ঘরের কাচ ও হিসাব রক্ষকের ড্রয়ার ভাঙা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

  নলহাটি শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৪২
Share:

নলহাটি থানার কলিঠা ব্যাঙ্কে জানালা ভেঙে চুরির চেষ্টা। —নিজস্ব চিত্র।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কার্যালয়ের জানলা ভেঙে চুরির চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে নলহাটির কলিঠা গ্রামে ওই ব্যাঙ্কে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। তবে তারা ভল্ট খুলতে পারেনি বলে ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। গত বুধবারই পাড়ুইয়ের মঙ্গলডিহি গ্রামে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের দেওয়াল কেটে ভিররে ঢুকে দুষ্কৃতীরা। তবে, ব্যাঙ্কের ভল্ট তারা কাটতে পারেনি। তার তিন দিনের মধ্যেই ফের একই ঘটনা ঘটায় ব্য়াঙ্কের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কলিঠা পঞ্চায়েত কার্যালয় চত্বরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এবং ডাকঘর। ওই চত্বরে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও রয়েছে। স্থানীয়দের একাংশ জানান, এ দিন সকালে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ব্যাঙ্কের জানলা খোলা অবস্থায় দেখতে পান। জানলার লোহার কাঠামো ভাঙা হয়েছিল। তিনি স্থানীয়দের বিষয়টি জানালে তাঁরা নলহাটি থানায় খবর দেন। পুলিশ ও ব্যাঙ্কের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন।

Advertisement

ব্যাঙ্কের কর্মী সুমন্ত প্রামাণিক বলেন, ‘‘খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কে এসে দেখি, জানলা ভাঙা। দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকেছিল। শনি ও রবিবার ব্যাঙ্ক ছুটি থাকায় ম্যানেজার বাড়ি গিয়েছেন। ঘটনার কথা শুনেই তিনি নলহাটির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। থানায় লিখিত অভিযোগ জানাবেন ম্যানেজার।’’ পুলিশ ব্যাঙ্ক কার্যালয়টি ঘিরে দিয়েছে। দুষ্কৃতী-হানার খবর পেয়ে ব্যাঙ্কে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের বীরভূমেরই পাইকপাড়া শাখার ম্যানেজার অমিত মুখোপাধ্যায়।

পুলিশের সঙ্গে তিনি জানালা দিয়ে ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢোকেন। অমিত বলেন, ‘‘ম্যানেজারের ঘরের কাচ ও হিসাব রক্ষকের ড্রয়ার ভাঙা হয়েছে। কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তবে ব্যাঙ্কের ভল্ট সুরক্ষিত রয়েছে। কোনও কিছু চুরি হয়েছে কিনা তা ম্যানেজার বলতে পারবেন।’’

এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে। অনেক গ্রামবাসী টাকা রাখেন ওই ব্যাঙ্ক এবং ডাকঘরে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সোনার দোকান ও ব্যাঙ্ককে নিশানা করছে দুষ্কৃতীরা। এই প্রেক্ষিতে ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরের নিরাপত্তা জোরদার করার আবেদন জানান গ্রামবাসী। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘চুরির উদ্দেশ্যে ব্যাঙ্কের জানলা ও গ্রিল ভাঙা হয়েছিল। তদন্ত শুরু হয়েছে। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার এলে কী চুরি গিয়েছে জানা যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement