প্রতীকী ছবি
করোনা সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ বাড়াতে এ বার উপসর্গহীন এবং সংক্রমণের হার কম, এমন এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহে জোর দিল স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার থেকে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন ৮ টি ব্লকের ৬৫ টি পঞ্চায়েত এলাকা থেকেনমুনা সংগ্রহ করা হবে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মীদের সহযোগিতা করবেন পঞ্চায়েত কর্মী থেকে পঞ্চায়েত সদস্য এবং ব্লক প্রশাসন।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য জেলার মধ্যে কোন পঞ্চায়েতে কোন এলাকায় করোনা আক্রান্ত বেশি তার হিসেব ব্লক প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েতে আছে। সেই সঙ্গে আক্রান্তদের নাম ঠিকানা ও ব্লক প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে আছে। তাই কোন কোন এলাকায় উপসর্গ নেই এবং সংক্রমণে হার কম, সেগুলিও গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসন চিহ্নিত করতে পারবে। ওই সমস্ত চিহ্নিত এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার এক আধিকারিক জানান।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে খবর, এতদিন করোনা সন্দেহে লালারসের নমুনা রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা থেকে কলকাতার নাইসেড, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ, দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতাল এবং নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে হতো। শ্রমিকরা ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরার পরে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রিপোর্ট আসতে দেরি হতো। তবে ইতিমধ্যে সিউড়ি সদর হাসপাতালে আরটিপিসিআর টেস্ট শুরু হয়। তারপর থেকেই রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা থেকে করোনা সন্দেহে সংগ্রহ করা লালারস সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এখন রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা থেকে প্রতিদিন ২০০ জনের নমুনা পাঠানোর নির্দেশ আছে। কিন্তু দু’তিন আগে রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলা থেকে ২০০-র অনেক কম নমুনা পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিযায়ী শ্রমিকদের আসাও কমে গিয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি গাইড লাইনে কিছু পরিবর্তনের জন্য নমুনা সংগ্রহ কম হয়েছিল বলে
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার এক আধিকারিক জানান। নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর লক্ষ্যে উপসর্গহীন ও সংক্রমণের হার কমএই সমস্ত এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জে লা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত ১৬৩ জন। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ অমিতাভ সাহা জানান, শনিবার পর্যন্ত রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা থেকে ৬০৫৫টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও ৩৯৫টি রিপোর্ট পাওয়া বাকি।