Kopai River

নদীবাঁধ নেই, প্লাবনের আশঙ্কায় কোপাই নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা, মিলল প্রশাসনিক আশ্বাস

শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত শ্রীনিকেতন গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম কমলাকান্তপুরে ৭০টি পরিবার রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ১৯:১৫
Share:

মঙ্গলবার সকালে কমলাকান্তপুর গ্রাম পরিদর্শনে ব্লকের বিডিও-সহ সেচ দফতরের কর্তারা। —নিজস্ব চিত্র।

চলতি বর্ষায় তেমন বৃষ্টি না হলেও বিপদ কাটছে না শান্তিনিকেতনের কোপাই নদীর তীরবর্তী কমলাকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দাদের। নদীবাঁধ না থাকায় প্লাবনের জলে ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ খবর সংবাদমাধ্যম প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসেছে শ্রীনিকেতন ব্লক প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে গ্রাম পরিদর্শনে আসেন ব্লকের বিডিও-সহ সেচ দফতরের কর্তারা।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত শ্রীনিকেতন গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম কমলাকান্তপুরে ৭০টি পরিবার রয়েছে। মহিলা-পুরুষ ও শিশু মিলিয়ে প্রায় ৫০০ জনের বসবাস।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের আগে পাকা বাড়ি ও বাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও তা মেটেনি। গ্রামের বাসিন্দা শুভাশিস কোড়া, শান্তনা কোড়া, গোসায় কোড়া, বুধি কোড়ারা বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে কোপাই নদীর পাড়ে বসবাস। প্রতি বর্ষায় আমাদের চিন্তা বাড়ে। ২০১৪ সালে কোপাই নদীর বানে ঋণডাঙা (কমলাকান্তপুর) গ্রামের বহু ঘরবাড়ি ভেঙেছিল।’’ তাঁদের অভিযোগ, ‘‘সেই থেকে এখনও সরকারি অনুদান পাওয়া যায়নি।’’ গ্রামবাসীদের দাবি, ‘‘২০১৯ ও ২০২১ সালের ভোটের সময় নেতা-মন্ত্রীরা এসে বলেছিলেন, পাকা বাড়ি, বাঁধ তৈরি করে দেবেন। কিন্ত ভোট পার হতেই আর কারও দেখা নেই। এ বছর নদীতে অত্যধিক মাত্রায় জল বেড়েছে। এই মুহূর্তে বাঁধ তৈরি করা জরুরি। গ্রামের পাকা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সকলে একসঙ্গে থাকছি। কারণ, জল বাড়লে মাটির কাঁচা ঘর ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকে।’’

Advertisement

নদী বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোপাই নদীর পাড় থেকে প্রচুর পরিমাণ বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। তা বন্ধ করতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। মঙ্গলবার সকালে গ্রাম পরিদর্শনে আসেন শ্রীনিকেতন ব্লকের বিডিও শেখর সাঁই, শ্রীনিকেতন গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রণেন্দ্রনাথ সরকার-সহ সেচ দফতরের আধিকারিক মহম্মদ সেলিম। বিডিওর দাবি, ‘‘নদীর ভাঙন রুখতে সাময়িক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান করা হবে। এ নিয়ে সব দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement