ফুটিডাঙ্গা আদিবাসি গ্রামে যাওয়ার একমাত্র পথ । বর্ষায় উপছে যায় ফুটব্রিজ। আতঙ্কে গোটা গ্রাম । ছবিঃ অভিজিৎ অধিকারী ।
ভোট আসে ভোট যায়, কিন্তু বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থার সুরাহা হয় না। একরাশ অভিমান নিয়ে এ কথা বলেন লেগো পঞ্চায়েতের ফুটিডাঙা আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা। অভিযোগ, স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি। এখনও গ্রামে ঢোকে না অ্যাম্বুল্যান্স, চার চাকার গাড়ি।
আমোদর নদে ঘেরা গ্রামে ৫০টি দিনমজুর পরিবারের বাস। নদের উপরে বহুকাল আগে তৈরি হয়েছিল সঙ্কীর্ণ ‘ফুট ব্রিজ’। তবে তা দিয়ে গ্রামে ঢুকতে পারে না অ্যাম্বুল্যান্স। অসুস্থ রোগীকে পাঁজাকোলা করে বা ডুলি করে নিয়ে যেতে হয় বড় রাস্তায়। সেখান থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতাল। মানুষের প্রাণ কিংবা গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্দশা নিয়ে প্রশাসন ভাবেনি বলে অভিযোগ রবি সরেন, বাবুলাল সরেন, পূর্ণ সরেন, প্রসেনজিৎ সরেনদের। তাঁরা আরও জানান, গ্রাম থেকে প্রায় ন’কিলোমিটার দূরে রাজগ্রাম বা টানাদিঘী হাইস্কুল। বর্ষায় আমোদর নদ উপচে পড়লে ফুট ব্রিজ জলের তলায় চলে যায়। পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়। সবজি নিয়ে চাতরার বাজারে যেতে পারেন না কৃষকেরা। গ্রামের পড়ুয়াদের পাশাপাশি কৃষকেরাও আমোদরের উপরে একটি বড় সেতুর দাবি তুলেছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এর আগে লেগো পঞ্চায়েতেও সেতু তৈরির আবেদন জানিয়েছিল গ্রামবাসী। বছরখানেক আগে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা সরেজমিনে এসে দেখে যান। তবে তাতেও কাজ কিছু হয়নি বলেই দাবি স্থানীয় লক্ষ্মীকান্ত সরেনের। তাঁর কথায়, “দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েতে জানিয়ে আসছি। ব্লক দফতর থেকে এসে দেখে গিয়েছেন। কিন্তু সুরাহা হল না।”
স্থানীয়দের দাবি মেনে নিয়ে কোতুলপুরের বিডিও দেবরাজ ঘোষ বলেন, “গ্রামে যাওয়ার ফুট ব্রিজটি চওড়া করা প্রয়োজন। প্রশাসনিক ভাবে সরেজমিনে গিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে জেলায় প্রস্তাব পাঠানো আছে।