নদীতে জল বেড়ে এ ভাবেই ভেসে গিয়েছে রাস্তা। ছবি: পাপাই বাগদি।
ময়ূরাক্ষী নদীতে জল ছাড়ায় ভেসে গেল নদীর উপরে তৈরি অস্থায়ী রাস্তা। প্রধান রাস্তা ধসে যাওয়ার ফলে বিপাকে মহম্মদবাজার ব্লকের আঙ্গারগড়িয়া পঞ্চায়েতের বড়াম সহ ১২টি গ্রামের বাসিন্দারা।
ময়ূরাক্ষীর দুটি শাখার মধ্যবর্তী জায়গায় অবস্থিত বড়াম, কাটুনিয়া, নরসিংহপুর, খোদায়বাগান, বেহিরা, ভেজেনা, দুমনি সহ ১২টি গ্রাম। বেশ কিছু দিন ধরেই দু’এক দিন অন্তর শুরু হচ্ছে প্রবল বৃষ্টি। যার ফলে বৃহস্পতিবার রাতে সিউড়ি তিলপাড়া জলাধার থেকে জল ছাড়া হয় ময়ূরাক্ষী নদীতে। আর নদীতে জল ছাড়তেই ভেসে যায় মামুদপুর থেকে বড়াম যাওয়ার নদীর উপরে বানানো অস্থায়ী রাস্তা। শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা কাজে বেরিয়ে সেই ছবি দেখতে পান। এর ফলে বন্ধ হয়েছে যাতায়াত। নদী জল বাড়ায় চলছে না নৌকাও।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই ভাবেই সারাবছর সমস্যার মধ্যে দিয়েই যাতায়াত করতে হয় এলাকাবাসীকে। এই রাস্তাটি আঙ্গারগড়িয়া মোড় থেকে বড়াম হয়ে সোজা সিউড়িতে উঠেছে। ফলে এই রাস্তা দিয়ে শুধু নদীর এ পারের মানুষ নয়, মহম্মদবাজার সংলগ্ন এলাকার বহু মানুষ এই রাস্তা দিয়ে সিউড়ি যান। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক, জেলা পরিষদ, জেলাশাসক এবং বিধায়কের কাছে আবেদনের পরে শেষে বোলপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কজওয়ের আবেদন জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী জেলা পরিষদকে দেখার নির্দেশও দেন। কিন্তু, ভোট পেরিয়ে গেলেও কজওয়ের কাজ শুরু হয়নি। এই অস্থায়ী রাস্তাটি পঞ্চায়েত থেকে বানানো হয়েছে। প্রত্যেকবারই নদীতে জল ছাড়লে রাস্তা যায় ভেঙে। সমস্যায় পড়তে হয় এলাকার মানুষকে। মাসখানেক যাওয়ার পরে নদীতে জল কমলে পঞ্চায়েত থেকে পুনরায় রাস্তা বানিয়ে দেওয়া হয়। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের উপরে নির্ভরশীল। জমিতে লাগানো আনাজ নদী পেরিয়ে আঙ্গারগড়িয়া ও মহম্মদবাজারের বাজারে বিক্রি করতে যেতে হয়। জলের তোড়ে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতের সমস্যায় পড়তে হয়েছে এই এলাকার মানুষকে।
পঞ্চায়েত প্রধান সোনালী বাগদি বলেন, ‘‘ এলাকার মানুষের দাবী মেনে জেলা পরিষদ থেকেও কজওয়ের কাজ শুরু হবে বলেই জানি।’’