Fellowship

ফেলোশিপ বকেয়া, পথে গবেষকরা

ফেলোশিপ নিয়ে বিশ্বভারতীর এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের। ২০১৬ সালে যাঁরা বিশ্বভারতীতে গবেষক হিসেবে ভর্তি হন, তাঁদের সময় থেকেই অসুবিধার সূত্রপাত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২০ ০৩:২১
Share:

সরব: ফেলোশিপের দাবিতে গবেষকেরা। শুক্রবার শান্তিনিকেতনে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

করোনা পরিস্থিতিতে দ্রুত বকেয়া নন নেট ফেলোশিপ মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন গবেষকদের একাংশ। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা। ২৫ তারিখ একটি ডেপুটেশনও দেন গবেষকেরা।

Advertisement

ফেলোশিপ নিয়ে বিশ্বভারতীর এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের। ২০১৬ সালে যাঁরা বিশ্বভারতীতে গবেষক হিসেবে ভর্তি হন, তাঁদের সময় থেকেই অসুবিধার সূত্রপাত। এই সময় বিশ্বভারতীর তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নন নেট ফেলোশিপ বন্ধ করা হল। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে আন্দোলন শুরু হলে ইউজিসি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়। তবুও ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বভারতীর গবেষকরা কোনও রকম নন নেট ফেলোশিপ পাননি। এই দুই বছরের বকেয়া টাকার এক-তৃতীয়াংশ দেওয়া হয় ২০১৮ সালে। বাকি টাকা বকেয়াই থেকে যায়। এরই মধ্যে ২০১৯ সালে ভর্তি হওয়া গবেষকদের কাছে বিশ্বভারতী লিখিত প্রতিশ্রুতি আদায় করে যে, তাঁরা কোনও রকম নন নেট ফেলোশিপের দাবি জানাতে পারবেন না। এই সব ঘটনার প্রতিবাদে ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গবেষকরা সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে অনশনে বসেন। ঘেরাও করা হয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে।

বিক্ষোভরত গবেষকদের অভিযোগ, সেখানে গবেষকদের প্রতিনিধি দল এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আলোচনায় উপাচার্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, অবিলম্বে ২০১৮ সালে ভর্তি হওয়া গবেষকদের ফেলোশিপ চালু করা হবে এবং ২০১৯ সালের গবেষকদেরও ফেলোশিপ দেওয়া হবে। আরও প্রতিশ্রুতি দেন ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে ভর্তি হওয়া গবেষকদের বকেয়া ফেলোশিপের আরও এক তৃতীয়াংশ দেওয়া হবে খুব শীঘ্রই। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। চলতি বছরের ১৬ মে বিশ্বভারতীর তরফে ফের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত বকেয়া ফেলোশিপের টাকা মিটিয়ে ফেলা হবে এবং ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া গবেষক ছাত্র-ছাত্রীদের লকডাউন পরবর্তী সময়ে নন নেট ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতেও বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে পর্যাপ্ত অর্থ এলে তবেই এই দ্বিতীয় পর্যায়ের ফেলোশিপ দেওয়া সম্ভব হবে। বকেয়া ২০১৬ ও ২০১৭ সালের বকেয়া ফেলোশিপ মিটিয়ে দিলেও, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে ভর্তি হওয়া গবেষকরা এখনও এক টাকাও পাননি। জুন মাস থেকে বাকিদেরও মাসিক ফেলোশিপ বন্ধ। তার বিরুদ্ধেই এ দিন সেন্ট্রাল অফিসে বিক্ষোভ দেখান গবেষকদের একাংশ।

Advertisement

পদার্থবিদ্যা বিভাগের গবেষক অমিত মণ্ডল জানান, “বর্তমান পরিস্থিতিতেই অর্থের প্রয়োজন সর্বাধিক। তাই দ্রুত সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement