অনাস্থায় অপসারণ সমিতিতে

অনাস্থায় অপসারিত হলেন মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সিতুনাথ মণ্ডল। বুধবার পঞ্চায়েত সমিতির ১৭ জন সদস্যের উপস্থিতিতে সিপিএমের ওই সহ-সভাপতি অপসারিত হন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুরারই শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭ ০১:০১
Share:

অনাস্থায় অপসারিত হলেন মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সিতুনাথ মণ্ডল। বুধবার পঞ্চায়েত সমিতির ১৭ জন সদস্যের উপস্থিতিতে সিপিএমের ওই সহ-সভাপতি অপসারিত হন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতির মোট ২৭টি আসনের মধ্যে দলগত অবস্থান ছিল সিপিএম ১০, কংগ্রেস ৯, তৃণমূল ৪ এবং ফরওয়ার্ড ব্লক ৪। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের ৭ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে তৃণমূলের শক্তি বেড়ে হয় ১১। সম্প্রতি ওই ১১ জন সদস্য পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন।

বুধবার অনাস্থায় ওই ১১ জনের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের ৪ জন এবং ফরওয়ার্ড ব্লক দলের ২ জন সদস্য। বাকি সদস্যদের মধ্যে সিপিএমের ৬ জন, কংগ্রেসের ২ এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের ২ —এই মোট ১০ জন সভায় ছিলেন না। মহকুমাশাসক (রামপুরহাট) সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘‘উপস্থিত ১৭ জন সদস্যই অনাস্থার পক্ষে ভোট দেওয়ায় সহ-সভাপতি অপসারিত হয়েছেন।’’

Advertisement

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আলি রেজার বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল সম্প্রতি। কিন্তু তিনি অনাস্থার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছেন। বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। এ দিনের অনাস্থা নিয়ে আলি রেজা বলেন, ‘‘ক্ষমতা দখলের জন্য তৃণমূল যা ইচ্ছে তাই করছে। আমরা মানুষের ভোটে জিতে এসেছি। অথচ ওরা সেই জনাদেশকেই উল্টে দিতে চায়।’’ তৃণমূলের মহকুমা পর্যবেক্ষক ত্রিদীপ ভট্টাচার্য অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘‘চার বছর কাজের সুযোগ পেলেও সিপিএমের সভাপতি, সহ-সভাপতি শুধু দুর্নীতি করেছেন। তাই অধিকাংশ সদস্য তাঁদের বিপক্ষে। মাটি হারিয়ে এখন ওঁরা উল্টোপাল্টা বকছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement