অনুব্রত মণ্ডল-ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র।
রামপুরহাট-কাণ্ডের ঘটনায় সিপিএম, বিজেপি বা অন্য দল যেই জড়িত থাকুক ছাড় পাবেন না। এমনকি তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকলে, ছাড় দেওয়া হবে না তাঁদেরও। বীরভূমের রামপুরহাটে পৌঁছে এমন মন্তব্যই করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘তৃণমূলের বদনাম করার জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় চক্রান্তের নিদর্শন। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।’’
ফিরহাদ আরও বলেন, ‘‘আমাদের লোককেই প্রথমে মারবে। তার পর আমাদের লোকদেরই আগুনে পুড়িয়ে মারা হবে। এই ঘটনা সহ্য করা যাবে না। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সঠিক তদন্ত করার জন্য। রাজ্য পুলিশের ডিজি রামপুরহাট আসছেন। ডিজিকে বলেছি আপরাধীদের খুঁজে বার করতে হবে। সবার উপরে আইন রয়েছে। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না।’’
রামপুরহাট-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৮ জন মারা গিয়েছেন এবং তিনটি বাড়ি পোড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ফিরহাদ। পাশাপাশি, তিনি ভাদু শেখের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন। মন্ত্রী বলেন, ‘‘সিটের তদন্তের উপর ভরসা আছে।’’
সোমবার রাতে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের খুনের ঠিক পর থেকেই কার্যত অগ্নিগর্ভ রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। রাতেই বগটুই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দমকল ১০ জনের মৃত্যু হওয়ার কথা নিশ্চিত করলেও পুলিশের দাবি মৃত্যু হয়েছে আট জনের। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি প্রথমে জানিয়েছিলেন, এই ঘটনায় মোট সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কী ভাবে এই আগুন লাগে সেই বিষয়ে সবিস্তারে কিছু জানাননি তিনি। সিলিন্ডার ফেটে এই অগ্নিকাণ্ড হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ভাদু রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় ভাদুকে লক্ষ্য করে বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর স্থানীয়েরা রক্তাক্ত অবস্থায় ভাদুকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ভাদুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।