শুক্রবার কলকাতায় বিশিষ্টজনদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র
বগটুই-কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামলেন বিশিষ্টেরা। মিছিলে হাঁটছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অনীক দত্ত, অম্বিকেশ মহাপাত্র, পবিত্র সরকারের মতো বিশিষ্টেরা।
দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বৈঠকে বসলেন সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা। শনিবারই বগটুইয়ে যাবেন তাঁরা।
আনারুল আদালতে ঢোকার সময় দাবি করলেন যে তিনি আত্মসমর্পন করেছেন। রামপুরহাট আদালতে তোলা হল ধৃত আনারুলকে।
বগটুই পৌঁছল কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করবে এই দল। কোনও নমুনা নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
বগটুই-কাণ্ডে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় আগাম ক্যাভিয়েট দাখিল হল। ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী।
শুক্রবার বগটুই গ্রামে পৌঁছচ্ছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে তারা। কী ভাবে আগুন লাগানো হয়েছিল, কী ধরনের দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছিল, সে সবই খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে শুক্রবার আদালতে তোলা হবে। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, ষড়যন্ত্র, হিংসা ছড়ানো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ দেওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই রামপুরহাট পৌঁছচ্ছে সিবিআইয়ের দল। এ কথা জানালেন সংস্থার আইনজীবী।
রায়দানের সময় আদালত বলে, আইনের প্রতি আস্থা ফেরাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘‘আমরা ওই ঘটনার বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করেছি। মামলার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই মামলা সিবিআই-কে দেওয়া প্রয়োজন। সমাজে বিচারব্যবস্থা এবং আইনের প্রতি আস্থা ফেরাতেই স্বচ্ছ তদন্ত করে সত্য সামনে আনা জরুরি। সেই প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এই মামলাটি সিবিআই-র হাতে তুলে দিতে চায় আদালত। সেই মোতাবেক রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তারা তুলে দিক।’’
শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতেই রামপুরহাট নিয়ে বিক্ষোভ বিজেপি-র। ওয়েলে নেমে স্লোগান দেন তাঁরা। এর পর বিক্ষোভও দেখান। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করলেন বিজেপি-র চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গা। বিক্ষোভের মধ্যেই রিপোর্ট পেশ করছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
শুধু অভিযুক্তরা নন, এই ঘটনায় কাউকে সন্দেহ করা হলে, তাঁকেও গ্রেফতার এবং হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই। অর্থাৎ সিবিআইয়ের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিল হাই কোর্ট।
সন্দেহ থাকলেই করা যেতে পারে গ্রেফতার, নির্দেশ হাই কোর্টের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
বগটুই-কাণ্ডে ধৃতদের সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ারও নির্দেশ দিল হাই-কোর্ট। রাজ্য আর কোনও তদন্ত করবে না বলেই প্রধান বিচারপতি শ্রীবাস্তব স্পষ্ট করে দেন।
৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল হাই-কোর্টের তরফ থেকে। সত্য উদ্ঘাটনের প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি শ্রীবাস্তব।
বগটুই-কাণ্ডে সিবিআইকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই-কোর্ট। রাজ্যকে সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করা দরকার বলেও জানালেন বিচারপতি শ্রীবাস্তব। একই সঙ্গে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলেও নির্দেশ হাই-কোর্টের।
প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ ইতিমধ্যেই বসেছে। রায় পড়তে শুরু করেছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।
আর কিছু ক্ষণেই বগটুই-কাণ্ডের রায় ঘোষণা করবে কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বগটুই হত্যাকাণ্ড মামলার শুনানি শেষ হয় কলকাতা হাই কোর্টে। কিন্তু রায় ঘোষণা করা হয়নি।
বগটুই-কাণ্ডে নিহত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের শ্যালক রাজেশ শেখ-সহ আরও এক ব্যক্তিকে আটক করল পুলিশ। আটক দুই ব্যক্তিকেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে থাকার অভিযোগে এই দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিকের পর বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড করা হয় এসডিপিও সায়ন আহমদকেও। বগটুই-কাণ্ডের পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। তাই রাজ্য পুলিশের ডিজি আগেই আইসি ত্রিদীপ এবং এসডিপিও সায়নকে ‘ক্লোজ’ করেছিল। এর পর বৃহস্পতিবার তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই-এর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা আসেন। এর পর ওই দিন সন্ধেবেলাতেই বগটুই পৌঁছন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয়। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী-সহ অন্য আধিকারিকেরাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ঘটনাস্থলগুলি খতিয়ে দেখে জেলা পুলিশকে কড়া নির্দেশও দেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর উপস্থিতিতে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়।