বগটুই গ্রাম পরিদর্শনে বিমান বসু। নিজস্ব চিত্র
পুলিশি বাধায় রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের মূল ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে পারলেন না বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তার প্রতিবাদে গ্রামের মধ্যেই অবস্থানে বসলেন তিনি। যে বাড়িতে একসঙ্গে সাত জনের পুড়ে মৃত্যু হয়েছে সেখানে যেতে না দিলে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান।
বুধবার সকালে বগটুই গ্রামে পৌঁছেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এর পর বাম প্রতিনিধিদলকে নিয়ে গ্রামে ঢোকেন বিমানও। তাঁর সঙ্গী ছিলেন আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্য। গ্রামের যে বাড়িতে একসঙ্গে সাত জনের পুড়ে মৃত্যু হয়েছে সেখানে যেতে চান বিমান। কিন্তু তাঁদের বাধা দেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা জানান, ঘটনাস্থলে ফরেনসিক দল এসেছে। তাঁরা তদন্ত চালাচ্ছেন। তাই কাউকে ওই বাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। বিমান অবশ্য পুলিশ আধিকারিকদের অনুরোধ করেন, ‘‘আমরা ফরেনসিক বিভাগ এবং পুলিশের তদন্তকে ব্যাহত করতে আসিনি। আমরা পরিস্থিতি দেখতে এসেছি।’’ কিন্তু তাতে কান দেননি পুলিশ আধিকারিকরা। বগটুই-কাণ্ডে তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিমান। তাঁর তোপ, ‘‘সিট হচ্ছে সাপ্রেশন অব ইনফর্মেশন অ্যান্ড ট্রুথ। পুলিশ বলছে, এখন ফরেনসিক তদন্ত চলছে। আমরা শেষপর্যন্ত অপেক্ষা করব।’’
পুলিশি বাধা পেয়ে গ্রামের মধ্যেই অবস্থানে বসেন বিমান। ঘটনাস্থলে ঢুকতে না দিলে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই তিনি কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। বগটুই-কাণ্ড নিয়ে বিমানের মন্তব্য, ‘‘গণহত্যায় যুক্তদের জনগণের দরবারে বিচার হওয়া উচিত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি শুনলাম, গতকাল প্রশ্ন করলেও কেউ কথা বলতে পারেননি। চোখ দিয়ে জল বেরিয়েছে। প্রতিবেশী খুন হয়েছেন। আজ এলাকার মানুষ বলছেন, ‘তোলাবাজি, মাতব্বরি বন্ধ হোক। এলাকায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প হোক।’ তাতে মানুষের আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।’’