আদালতের পথে আনারুল। নিজস্ব চিত্র।
শুক্রবার রামপুরহাটের তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ হত্যা মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আর শুক্রবারই রামপুরহাট আদালতে তোলা হল বগটুই-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনকে। সিবিআই আধিকারিক বেষ্টিত আনারুল আদালতে ঢোকার সময় আবারও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিচার ব্যবস্থার উপর বিশ্বাস আছে। নেত্রীর প্রতি আস্থা আছে।’’ আনারুল আবারও দাবি করেন, তাঁকে ‘ফাঁসানো’ হয়েছে।
এর আগে আনারুল দাবি করেন, বগটুই-কাণ্ডে মূল অভিযুক্তরা টিভি চ্যানেলে বসে বক্তৃতা করছেন। যদিও বগটুই-কাণ্ডে এক মৃতার স্বামী শেখলাল শেখ অভিযোগ করেছেন, নিহত বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ ছিলেন ‘ক্রিমিনাল’। বীরভূম তৃণমূলের শীর্ষ নেতা এবং পুলিশ আধিকারিকরা পর্যন্ত ভাদুর তোলাবাজির টাকার ভাগ পেতেন। একই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, অগ্নিকাণ্ডের সময় পুলিশকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দিয়েছেন ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুলই। উল্লেখ্য, আদালতে আনারুলের হয়ে লড়ছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা। তিনি জানান, আনারুলের জামিনের আবেদন করছেন।
অন্য দিকে, শুক্রবার ভাদু শেখ হত্যার তদন্তভারও সিবিআই-কে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় ভাদু শেখ খুন ও বগটুইয়ের ঘটনা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। তাই ওই মামলার তদন্তও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে শুক্রবারও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে অনুব্রত-গড় বীরভূমে। এ বার নানুরের পুনদরা গ্রামের একটি বাড়ির পিছন থেকে এক ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করে নানুর থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই বোমা গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদিও, এখনও এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে খবর।