হত্যার প্রতিবাদে। সবংয়ে ছাত্রকে পিটিরে মারার প্রতিবাদে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নানা কর্মসূচি নিল বিরোধীরা। শনিবার সন্ধ্যায় সিউড়িতে কংগ্রেসের মৌনী মিছিল।
সবং কলেজে ছাত্রকে পিটিয়ে খুনের প্রতিবাদে রামপুরহাট কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রপরিষদ।
শনিবার ছাত্রপরিষদের কলেজ ইউনিট সভাপতি নিয়ামত শেখ এবং ছাত্রপরিষদের জেলা সভাপতি রবিউল হাসানের নেতৃত্বে কলেজের মূল গেটের সামনে ছাত্রপরিষদের কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভে সামিল হন। ছাত্রদের বিক্ষোভে দেখা গিয়েছে পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর জামালউদ্দিন শেখকেও। ওই খুনের ঘটনাকে ছাত্রপরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার তীব্র নিন্দা করা হয় এ দিনের বিক্ষোভে। পাশাপাশি ঘটনায় দোষী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও তাঁরা তোলেন। রবিউল এ দিন বলেন, ‘‘জেলার বিভিন্ন কলেজে ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে রাজ্য জুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত হয়েছে।’’
দুপুরে এবিভিপি-র বিক্ষোভ সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে।
ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ কলেজ গেটের সামনে মিনিট পনেরো বিক্ষোভ দেখানোর পরে নিয়ামতের নেতৃত্বে ছ’সাত জন ছাত্রপরিষদ সমর্থক অধ্যক্ষের কাছে কলেজ বন্ধ রাখার জন্য আবেদন জানান। অধ্যক্ষ অবশ্য তা শোনেননি। কলেজের অধ্যক্ষ তপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এক জন ছাত্র কলেজের ভিতরে খুন হয়েছেন, সেটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু, এই মুহূর্তে পরীক্ষার সিডিউলের জন্য কলেজের ক্লাস বন্ধ আছে। কেবল মাত্র বিএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রভর্তির আজকে শেষ দিন। সেই জন্য কলেজ খোলা রাখতে হয়েছে।’’
ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে পুরুলিয়ায় কংগ্রেস।
এ দিকে ছাত্রপরিষদ সমর্থকরা যখন সবংয়ের ঘটনার প্রতিবাদে কলেজে এই কর্মসূচি চালাচ্ছিলেন, তখন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের ঘর খোলাই ছিল। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থকদের কলেজ চত্বরে ঘোরাঘুরি করতেও দেখা যায়। অশান্তির আশঙ্কায় এক সময় কলেজে পুলিশ এসে অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে যায়। এ দিকে কলেজে পুলিশ ঢুকতেই ছাত্রপরিষদ সমর্থকেরা কলেজের প্রধান গেট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষর কাছে আবেদন জানান। অধ্যক্ষ তাঁদের আশ্বাস দেওয়ার পরে ছাত্রপরিষদ সমর্থকেরা কলেজ ছেড়ে চলে যান।
প্রতিবাদে। ছবি: অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়।
অন্য দিকে, এ দিন সকালে এসএফআই-এর পক্ষ থেকেও রামপুরহাট কলেজ বন্ধ রাখার জন্য অধ্যক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়। বিকালে রামপুরহাট পাঁচমাথা মোড়ে বামপন্থী ছাত্র যুব সংগটনের কর্মী-সমর্থকেরা পথসভা করেন। সেখানে বিভিন্ন বক্তা সবংয়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে রাজ্যে নৈরাজ্যের শাসন ব্যবস্থাকে উৎখাত করার ডাক দেন।