Barabazar

অভিযান থামবে না অবৈধ খাদানে, দাবি সভাধিপতির

সুজয়বাবু এ দিন বলেন, ‘‘অবৈধ পাথর খাদান বন্ধের অভিযান থামানোর প্রশ্ন নেই। কোনও ভাবেই সরকারি রাজস্ব নয়ছয় হতে দেওয়া যাবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বরাবাজার ও পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ০৫:২১
Share:

বেনিয়ম: এই ভাবেই যন্ত্র নামিয়ে চলে কাজ। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো

বরাবাজারে অবৈধ পাথর খাদানে প্রশাসনের অভিযানকে ঘিরে বিতর্ক থামছে না। মঙ্গলবার ওই ব্লকের বাঁশবেড়া পঞ্চায়েতের শাঁখারি গ্রামের অদূরে একটি অবৈধ খাদানে প্রশাসনের আধিকারিকদের অভিযানে ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাকে ঘিরে জেলা তৃণমূলের অন্দরে জলঘোলা শুরু হয়েছে।

Advertisement

জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূলের জেলা বরিষ্ঠ সহ-সভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বরাবাজারে অবৈধ খাদান বন্ধে উদ্যোগী হয়েছেন। মঙ্গলবারের ঘটনাকে ঘিরে তাঁর সঙ্গে বরাবাজারের ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুদর্শন মাহাতোর ‘মত বিরোধ’ বুধবার ফের প্রকাশ্যে এসেছে।

সুজয়বাবু এ দিন বলেন, ‘‘অবৈধ পাথর খাদান বন্ধের অভিযান থামানোর প্রশ্ন নেই। কোনও ভাবেই সরকারি রাজস্ব নয়ছয় হতে দেওয়া যাবে না। সুষ্ঠু ভাবে কাজ করার জন্য জেলার শীর্ষ স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে আমরা সমন্বয় রেখে চলেছি।’’

Advertisement

অন্য দিকে, সুদর্শনবাবু দাবি করেন, ‘‘মঙ্গলবার আমি শ্রমিকদের স্বার্থের কথা অভিযানে থাকা আধিকারিকদের বলতে গিয়েছিলাম। শুধু অভিযান করে দায়িত্ব এড়ানো চলবে না। বৈধ ভাবে পাথরের ব্যবসা চালানোর প্রক্রিয়ার দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে।’’

সুদর্শনবাবুর দাবি, বরাবাজারের বিভিন্ন খাদানে প্রায় ১২ হাজার শ্রমিক পাথর উত্তোলনের কাজ করেন। যদিও গত কয়েকদিনে অভিযানে থাকা আধিকারিকদের একাংশ ও স্থানীয়দের দাবি, খাদানগুলিতে যন্ত্র ব্যবহার করে পাথর তোলা হয়। শ্রমিকদের কাজের সুযোগ বেশি নেই।

তবে সে বিতর্কে না গিয়ে প্রশাসন অবশ্য ওই সব খাদানে কর্মরত শ্রমিকদের নামের তালিকা চাইছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কোন খাদানে কোন, কোন শ্রমিক কাজ করেন বা করতেন, এমন নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শ্রমিকদের তালিকা হওয়া দরকার।’’ জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, ‘‘শ্রমিকদের কাজের বিষয়টি সহৃদয়তার সঙ্গে দেখা হবে। তাঁদের জন্য বিকল্প কাজের ভাবনা-চিন্তা চলছে।’’

এ দিকে, সুদর্শনবাবুর মঙ্গলবারের ভূমিকাও দলের একাংশ ভাল ভাবে নিচ্ছেন না। কারও মতে, খাদান মালিকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি অভিযানে যাওয়া আধিকারিকদের বিরোধিতা করায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। যদিও সুদর্শনবাবুর দাবি, আধিকারিকদের কাজে তিনি বাধা দিতে যাননি। কোন খাদান বৈধ এবং কোনটা অবৈধ এ নিয়ে জানতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।

সুজয়বাবু জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি তিনি দলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোকে মঙ্গলবারই জানিয়েছেন। শান্তিরামবাবু বলেন, ‘‘দল নানা ভাবে বিভিন্ন সূত্র ধরে ওই বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে। আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement