বিশ্বভারতীতে পালিত হল রবীন্দ্রজয়ন্তী। — নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতীর পাশাপাশি গোটা রাজ্যে পালিত হচ্ছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী। এই উপলক্ষে নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বভারতীতে ভোর থেকেই কবির ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী পালন শুরু হয়। আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। যা চলবে দিনভর।
বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন। — নিজস্ব চিত্র।
শুধু শান্তিনিকেতনই নয়, গোটা রাজ্যেই পালিত হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মদিন। এই উপলক্ষে প্রথা মেনে বুধবার কাকভোরে শান্তিনিকেতনের গৌর প্রাঙ্গণে বৈতালিক হয়। ভোর সাড়ে পাঁচটার বৈতালিকে অংশ নেন বহু রবীন্দ্র অনুরাগী। গৌর প্রাঙ্গণে ছিল না তিলধারণের জায়গা। সকাল সাড়ে ৬টায় রবীন্দ্রভবনে কবিকণ্ঠে শোনানো হয় গান। সকাল ৭টায় উপাসনাগৃহে উপাসনার পর সকাল পৌনে ৯টায় মাধবী বিতানে কবির জন্মোৎসব পালিত হয়। সন্ধ্যায় গৌর প্রাঙ্গণেই আয়োজিত হবে রবীন্দ্র নৃত্যনাট্য। এ বছরও রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য-সহ ছাত্র, ছাত্রী, অধ্যাপক সকলেই।
শুধু শান্তিনিকেতন বা বিশ্বভারতীই নয়, গোটা বাংলা তথা দেশেই পালিত হচ্ছে বিশ্বকবির জন্মদিন। কলকাতায় কবির বাড়ি জোড়াসাঁকোতেও সারা দিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলবে। রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন সকালেই কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথের সহিষ্ণু প্রজ্ঞা এবং প্রতিভা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত এবং আলোকিত করতে থাকবে।’’ প্রধানমন্ত্রী একটি ভিডিয়োও জুড়ে দিয়েছেন। তাতে কবির বিভিন্ন ছবি রয়েছে। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতাও। রবীন্দ্রনাথকে প্রণাম জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘দেশ, কালের গণ্ডি পেরিয়ে আজও আমাদের আনন্দ-বেদনায়, আশা-নিরাশায়, সঙ্কট-সাফল্যে, উৎসব-পার্বণে তিনিই পরম আশ্রয়— আত্মার আত্মীয়।’’