কলহপুর গ্রামে সিংহ বাড়ির প্রতিমা। —নিজস্ব চিত্র।
পারিবারিক পুজো। কিন্তু সে পুজোয় মেতে ওঠে গ্রাম। পরিবারের সদস্য মন্ত্রী হওয়ার পরে সেই উৎসাহ আরও বেড়েছে। মুরারই ২ ব্লকের কলহপুর গ্রামে রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প ও বস্ত্রমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর বাড়ির পুজো নিয়ে এমনই দাবি গ্রামবাসীর।
সিংহ পরিবারের সদস্যদের একাংশ জানান, ১৪৫৪ সালে এই পুজোর সূচনা করেন কমললোচন ঘোষ। এখানে দেবীর পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। সন্ধিপুজোর সময়ে কুমড়ো বলি দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। কমললোচনের ভাই রামলোচন ঘোষের এক মাত্র মেয়ে গয়াসুন্দরী ঘোষের সঙ্গে নলহাটির জগধরী গ্রামের বক্রনাথ সিংহের বিয়ে হয়। সেই সূত্রে ঘোষ ও সিংহ পরিবারের পুজো হয় যৌথ ভাবে।
পরিবারের সদস্যেরা জানান, পুজোর খরচের দশ আনা সিংহ পরিবার আর ছয় আনা ঘোষ পরিবারের। পুজোর চার দিন নিরামিষ ভোগ দেওয়া হয়। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত লুচি তরকারি ভোগ হয়। দশমীর দিন রয়েছে দই, চিঁড়ের ভোগ। সে দিন বাড়ির সকলে আতপ চালের ভাত খান। এই প্রতিমার সিংহের মুখের আদল ঘোড়ার মতো। পুজোর সময়ে মন্দিরের পাশে মেলা বসে। প্রাচীন পুজো হওয়ায় দূর থেকেও অনেক ভক্ত আসেন। দশমীর দিন পুরনো রীতি মেনে বাঁশের মাচা করে প্রতিমা বিসর্জনে নিয়ে যাওয়া হয়।
মন্ত্রীর ভাই ইন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘ পরিবারের পুরুষ সদস্যেরাই পুজোর ভোগ রান্না করেন। মহিলারা বাকি পুজোর দ্বায়িত্ব পালন করে থাকেন। বিজয়া দশমীর দিন গ্রামবাসীর সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করা হয়। মন্ত্রী বলেন, ‘‘হাজার ব্যস্ততা থাকলও পুজোয় গ্রামের বাড়িতে থাকি। ছোট থেকেই পুজোয় বাড়িতে থাকি। পরিবারের সকল সদস্যদের সঙ্গে এই দিনগুলি খুব আনন্দে কাটে। গ্রামের মানুষজনের সঙ্গেও আনন্দ করি।"