ম্যাপ: লিপিকায়। নিজস্ব চিত্র
শান্তি সুনিবিড় শান্তিনিকেতনের পরিবেশ বান্ধব পর্যটনকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে বিশেষ কর্মসূচি নিচ্ছে বিশ্বভারতী।
সেই লক্ষ্যেই শান্তিনিকেতনের লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল তিন দিনের জাতীয় স্তরের আলোচনা। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত বলেন, “বিশ্ব মানচিত্রে ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতনের পরিবেশ বান্ধব পর্যটনকে তুলে ধরার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। এমন লক্ষ্যপূরণে শুধুমাত্র এই এলাকা ও বিশ্বভারতীই নয়, আশপাশের এলাকাও যাতে সমান ভাবে উদ্যোগী হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মহলকে নিয়ে এমন জাতীয় স্তরের আলোচনার আয়োজন হয়েছে।”
বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে শান্তিনিকেতনের কদরই আলাদা। শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের টানে ফি দিন দেশিবিদেশি পর্যটকদের ভিড় থাকে এলাকায়। যাকে ঘিরে এলাকাবাসীর একাংশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নির্ভরশীল। এমন পরিবেশ বান্ধব পর্যটন ক্ষেত্রকে আরও ভাল করে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে এবং আশপাশের এলাকাতেও সমান ভাবে যাতে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন ক্ষেত্র গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করছে বিশ্বভারতী। এলাকাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, যানজট দূর করা, ট্যুরিজম বুথ, পর্যটন বিষয়ক পুস্তিকা প্রকাশ, ঐতিহ্যবাহী এলাকা নিয়ে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর একাধিক ভাষায় পর্যটকদের জন্য অডিও টেপের ব্যবস্থা করা-সহ আনুষঙ্গিক একাধিক জিনিস চালু করা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন স্বপনবাবু।
এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পর্যটন দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা জে পি সৌ, রাজ্য পর্যটন দফতরের আধিকারিক কৌশিক ভট্টাচার্য, মানচিত্র বিষয়ক এনএটিএমও অধিকর্তা তপতী বন্দ্যোপাধ্যায়, ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ হোটেল ম্যানেজমেন্টের (প্রশাসন ও অর্থ) অধিকর্তা এল কে গাঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্টের অধ্যক্ষ দেবাসিশ দাস প্রমুখ। বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলছেন, ‘‘এই তিন দিন আলোচনার ছাড়াও থাকছে এলাকা ও আশপাশের পর্যটনস্থল ঘুরে দেখানো, বিশেষজ্ঞদের প্যানেল পর্যালোচনাও। দেশ তো বটেই, বিদেশি পর্যটকদের কাছে এই এলাকার শিক্ষা-সংস্কৃতি-অধ্যাত্মিক মননকে পর্যটনে আরও কী ভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তা নিয়ে আমন্ত্রিতেরা আলোচনা করবেন।’’