প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য নরেন্দ্র মোদীকে। বিজেপি-র তরফে রবিবার জানানো হয়েছে, ২৪ নভেম্বরের ওই অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করবেন। তার আগে আগামী ২০ ডিসেম্বর বোলপুরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তিনি ওই দিন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে রবিবার বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন ‘পূর্বিতা’য় তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং দলের নেতা অনুপম হাজরা।
বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন থেকে বেরিয়ে কৈলাস বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবসে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অংশ নেবেন। তার আগে বোলপুরে আসছেন অমিত শাহ। তিনি বিশ্বভারতীতেও আসতে পারেন। সেই বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করে গেলাম।”
বিজেপি নেতা তথা এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরাও রবিবার কৈলাসের সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, “বিশ্বভারতীর যে গরিমা নষ্ট হয়েছে বিগত দিনে, তা ফিরিয়ে আনতে একেবারে অরাজনৈতিক ভাবে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবসে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন। সেই বিষয়েই উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা হল।’’ তিনি আরও জানান, বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য অমিত শাহ বোলপুরে আসছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের কর্মীর উপর যে আক্রমণ হচ্ছে তার প্রতিবাদে মিছিল হবে বোলপুরে। মিছিল শেষে একটি আলোচনাসভাও হবে। বীরভূমে পিঁপড়ের সংখ্যা বেশি আছে, তাই এখানে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হবে।”
বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনে কৈলাস বিজয়বর্গীয় অনুপম হাজরা। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য বিজেপি-র সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেন এ দিন। তিনি বলেন, “অমিত শাহ বোলপুরে আসছেন। তাই নিয়েই আলোচনা হল। বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদল কোনও রকম দাদাগিরি করতে পারবে না। যদি কেউ দাদাগিরি করতে আসে তারা হেঁটে হেঁটে আসবে কিন্তু খাটে করে যাবে। তার দায়িত্ব আমাদের নয়।’’
তৃণমূল যদিও বিজেপি-র এই সব বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান জানে না। ওঁর সম্পর্কে আর কী বলব!”