Visva-Bharati University

আসছেন রাষ্ট্রপতি, আম্রকুঞ্জ সাজল বৃষ্টিতেই

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল ৩টে ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের হেলিকপ্টার বিশ্বভারতীর কুমিরডাঙা মাঠে নামবে। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে বিশ্বভারতীর ভিআইপি গেস্ট হাউস রথীন্দ্র অতিথি গৃহ ও রতন কুটিরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৯ ০০:০২
Share:

আচ্ছাদন: বুলবুলের ভয়ে পলিথিনে ঢেকেছে সমাবর্তনের আলপনা। শনিবার বিশ্বভারতীতে। নিজস্ব চিত্র

নিম্নচাপের প্রভাব যাতে সমাবর্তনে না পড়ে তার জন্য সবরকমের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্বভারতী। গোটা শান্তিনিকেতন জুড়েই সাজো সাজো রব উঠেছে সমাবর্তনও রাষ্ট্রপতির সফরকে ঘিরে।

Advertisement

আজ রবিবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ পৌঁছবেন বিশ্বভারতীর পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সমাবর্তনে যোগ দেওয়ার আগে শান্তিনিকেতন ঘুরে দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। তাই বৃষ্টি মাথায় করেই শান্তিনিকেতনকে সাজিয়ে তুলতে কোনও খামতি রাখেননি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল ৩টে ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের হেলিকপ্টার বিশ্বভারতীর কুমিরডাঙা মাঠে নামবে। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে বিশ্বভারতীর ভিআইপি গেস্ট হাউস রথীন্দ্র অতিথি গৃহ ও রতন কুটিরে। রাষ্ট্রপতির থাকার জন্য রথীন্দ্র অতিথি গৃহে এবং রাজ্যপালের জন্য রতন কুটির গেস্ট হাউসে ব্যবস্থা করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে পৌঁছনোর পরে সেখানে একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে শান্তিনিকেতন ঘুরে দেখার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতির।

Advertisement

এ দিনও রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের নিরাপত্তা নিয়ে দফায় দফায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রশাসনিক কর্তাদের বৈঠক হয়। কুমিরডাঙা হেলিপ্যাড থেকে সমাবর্তনের মঞ্চ পর্যন্ত গাড়ির ট্রায়াল দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের নিরাপত্তার জন্য রবিবার দুপুরের পর থেকে শান্তিনিকেতনের একাধিক জায়গায় নো এন্ট্রি জারি থাকবে।

ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতন থেকে শ্রীনিকেতন যাওয়ার রাস্তায় একাধিক ড্রপ গেট বসানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের নিরাপত্তার জন্য সমাবর্তনের দিন অনুষ্ঠান স্থলের চারদিকে দুটি ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি চালাবে জেলা প্রশাসন। পুলিশ ও অন্য সরকারি এজেন্সির সঙ্গে অনুষ্ঠান স্থলের বিভিন্ন গেটে বিশ্বভারতীর প্রায় ৩০০ জন অধ্যাপক, কর্মী, ছাত্র-ছাত্রীদের ভলান্টিয়ার হিসেবে রাখা হবে বলে এ দিন বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে।

শুক্রবার রাতভর ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে সমাবর্তনের প্রস্তুতিতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। আম্রকুঞ্জে দেওয়া আলপনা ধুয়ে গিয়েছিল বেশ কিছু জায়গায়। সেগুলি শনিবার বিকেলের মধ্যে আবার নতুন করে আঁকা হয়েছে। বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে ঢাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিম্নচাপের কথা মাথায় রেখে আম্রকুঞ্জের পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে নাট্যঘরেও সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সমস্ত রকমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে। সেখানেও সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যাপ্ত আলো ও বসার জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতবারের পানীয় জলের সমস্যার কথা মাথায় রেখে এবারও পর্যাপ্ত পানীয় জলের বন্দোবস্ত থাকছে বলে জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর আধিকারিকেরা।

বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, ‘‘সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে আম্রকুঞ্জের সঙ্গে নাট্যঘরেও সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। আমরা সোমবার সকালে আবহাওয়া কেমন থাকে তা দেখে সমাবর্তনের অনুষ্ঠান স্থল ঠিক করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement