Mamata Banerjee

র‌্যালিতে পুঁজি রবীন্দ্র-আবেগ

আড়াই লক্ষ লোক জমায়েত হলে কী ভাবে সমস্তটা সামলানো হবে তা নিয়ে আজই বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে জেলা স্তরের বৈঠক ডাকা হয়েছে।

Advertisement

দয়াল সেনগুপ্ত 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:২৭
Share:

ফাইল চিত্র।

দল হিসেবে বিজেপি বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বোলপুরে অমিত শাহের পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর ২৯ তারিখের ‘ঐতিহাসিক পদযাত্রায়’ সেই আবেগকেই উসকে দিতে প্রস্ততি শুরু হয়েছে তৃণমূল শিবিরে। রবীন্দ্র-আবেগ সামনে রেখেই পদযাত্রার ট্যাগ লাইন, ‘বাংলা, বাঙালি ও বাংলার সংস্কৃতি’।

Advertisement

২৮ তারিখের প্রশাসনিক সভার পরের দিনই রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর রোড-শো। তৃণমূলের দাবি, ঐতিহাসিক পদযাত্রা। আড়াই লক্ষ লোকের সমাগম করার চ্যালেঞ্জও নিয়েছে তৃণমূল। আয়োজনের ধারে ভারে বিজেপিকে ছাপিয়ে যাওয়ার সঙ্গে লক্ষ্য হল বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরা। সেটা অবশ্যই রবীন্দ্রনাথকে সামনে রেখে। কারণ, বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা থেকে শাহ— সকলেই রাজ্য সফরে এসে রবীন্দ্র-ঐতিহ্যের কথা বড় করে তুলে ধরেছেন। আবার বিজেপির বিভিন্ন টুইট, হোর্ডিং এবং নেতাদের কথায় রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে যে সব ‘তথ্য’ দেওয়া হয়েছে, তা ঘিরে সমালোচনাও হয়েছে। ঠিক এই জায়গাটাই পদযাত্রায় তুলে ধরতে চায় শাসকদল।

দল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশাল মাপের রবীন্দ্রনাথের কাটআউট, তাঁর গান-কবিতার লাইন লেখা পোস্টার থাকবে শোভাযাত্রা জুড়ে। এ ছাড়া বাউল বীরভূমের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। তাই ১০০০ বাউল শিল্পীকে ওই পদযাত্রায় নিয়ে আসা হবে। থাকছে হাজার খানেক কীর্তনের দল। যাঁদের লোকসভা নির্বাচনের আগে খোল করতাল দিয়েছিল তৃণমূল। থাকছে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আদিবাসী নৃত্যশিল্পীর দল। গোটা পদযাত্রা যাতে সকলে ভাল ভাবে দেখতে পান তার জন্য শহর জুড়ে অন্তত ২০টি ডিজিটাল জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানোর প্রস্ততি হয়েছে। ‘মাল্টি ক্যাম’ সম্প্রচার তো থাকছেই, থাকছে ‘ক্রেন ক্যামেরা’। শাহ-র রোড শোয়ে যে সংখ্যায় ছিল তার থেকেও বেশি।

Advertisement

শহর জুড়ে বিশাল তোরণ তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। আজ বা কাল থেকে জেলা জুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রা ও সফর সূচি দিয়ে পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে দেওয়ার ভাবনা নেওয়া হয়েছে। বীরভূম তৃণমূলের অফিসিয়াল ফেস বুক পেজ থেকে ‘ঐতিহাসিক পদযাত্রায়’ প্রচার শুরু হয়েছে।

এ দিকে, আড়াই লক্ষ লোক জমায়েত হলে কী ভাবে সমস্তটা সামলানো হবে তা নিয়ে আজই বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে জেলা স্তরের বৈঠক ডাকা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, বোলপুর মহকুমার চারটি ব্লক বোলপুর, লাভপুর, নানুর ও ইলামবাজারের বাইরে আর কোনও ব্লক থেকে লোকজন আনা হচ্ছে না। কিন্তু, বাস মালিক সংগঠন সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, জেলায় ৬০০ বাসের মধ্যে অধিকাংশ বাসই তুলে নেওয়া হচ্ছে কর্মীদের মমতার কর্মসূচিতে আনার জন্য।

শোনা যাচ্ছে সিউড়ি ১ ব্লক থেকে ১২টি বাসে শুধু মহিলা সমর্থক বোলপুর যাবেন। ৫০টি বাস চাওয়া হয়েছে সাঁইথিয়া থেকে। ৩০টি বাস যাবে খয়রাশোল থেকে। প্রায় সম সংখ্যক বাস যাওয়ার কথা দুবরাজপুর থেকে। গোটা জেলার ছবিটাই তাই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement