হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক প্রসূতি ডাস্টবিনের পাশে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার সকালে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা। এ নিয়ে তুমুল ক্ষোভ ছড়ায় এলাকায়। কী ভাবে এমন কাণ্ড ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, বাসিন্দারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। এ নিয়ে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ব্রজেশ্বর মজুমদার জানান, রোগীর পরিজনরা ঘটনাটিকে অতিরঞ্জিত ভাবে ব্যাখ্যা করছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুরারই থানার আবদুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা রকেয়া বিবি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ হাসপাতাল পরিষ্কার করা হবে বলে আমাদের বেরিয়ে যেতে বলা হয়। যন্ত্রণা নিয়েই হাসপাতালের বাইরে এসে দাঁড়াই। সেখানেই সন্তান প্রসব করি।’’ এই ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ তাঁর পরিজনরা।
হাসপাতালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত মুরারই ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দুলাল বিন। তাঁর অভিযোগ, ওই হাসপাতালে ঠিকমতো পরিষেবা মেলে না। ওই মহিলার পরিজনরাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন।
মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষঞ্জ লক্ষ্ণণ হাঁসদা বলেন, ‘‘রোগীকে সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পরীক্ষা করে হাসপাতালেই থাকতে বলা হয়েছিল। শুনেছি উনি নিজেই রোদে দাঁড়াতে লেবার ওয়ার্ডের বাইরে চলে গিয়েছিলেন।’’
মুরারই ১ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ বলাই চন্দ্র রায় বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রসূতিকে লেবার ওয়ার্ড থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ তিনি জানান, হাসপাতাল পরিষ্কার করা হচ্ছিল। সাফাইকর্মীরা রোগীর পরিজনদের ওয়ার্ডের বাইরে যেতে বলেছিলেন। ওই মহিলাও তখন লেবার ওয়ার্ডের বাইরে চলে যান। সেখানেই সন্তান প্রসব করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালের নার্সরা ফের সন্তান-সহ ওই মহিলাকে লেবার ওয়ার্ডে নিয়ে আসেন। দু’জনেই সুস্থ।