ফাইল চিত্র।
শান্তিনিকেতনে প্রসার ভারতীর অধীনে থাকা দূরদর্শন কেন্দ্র ও আকাশবাণী শান্তিনিকেতন কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহের দ্বারস্থ হয়েছে আকাশবাণী ও দূরদর্শন কেন্দ্রের ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মী সংগঠন।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীন প্রসার ভারতীর সিদ্ধান্ত অনুসারে শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রের ‘টেরিস্ট্রিয়াল ট্রান্সমিশন’ বন্ধ হতে চলেছে। অর্থাৎ অ্যান্টেনার মাধ্যমে যে-সব অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হত, সেই ব্যবস্থা বন্ধ করা হচ্ছে। তবে শুধু শান্তিনিকেতন নয়, দেশের মোট ৪১১টি স্থানে এই ধরনের ট্রান্সমিশন বন্ধ করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, প্রযুক্তির পরিবর্তনের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেবল সংযোগের বাড়বাড়ন্তের পর এখন অ্যান্টেনা লাগিয়ে টিভি দেখার চল প্রায় উঠেই গিয়েছে। তারই সঙ্গে তাল মিলিয়ে অ্যান্টেনায় যে ডিডি শান্তিনিকেতন চ্যানেল পাওয়া যেত, সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু, প্রসার ভারতীর এই সিদ্ধান্তের ফলে শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রের মোট ১৯ জন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। সেই আশঙ্কা থেকেই কর্মী সংগঠনের সদস্যেরা বিধায়ককে চিঠি লিখে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার বিষয়টি দেখার আর্জি জানান। সেই মতো, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে চিঠি দিয়েছেন বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ। চিঠিতে তিনি আকাশবাণী ও দূরদর্শনের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শান্তিনিকেতনের দীর্ঘ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
কর্মীদের দাবি, প্রযুক্তির পথে হেঁটেই অ্যান্টেনা ট্রান্সমিশনের পরিবর্তে ডিজিটাল ট্রান্সমিশনের ব্যবস্থা করা যেত। আকাশবাণী বা দূরদর্শন কখনওই লাভের জন্য তৈরি করা হয়নি। কিন্তু, এ ভাবে ট্রান্সমিশন বন্ধ করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রসার ভারতীর ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিই প্রকাশ পাচ্ছে। তবে শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রের এক কর্মী জানান, ২০২০ সালের অগস্ট থেকেই এখান থেকে সম্প্রচার বন্ধ করা রয়েছে। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা স্থায়ী ভাবে বন্ধ হতে চলেছে। যদিও কেন্দ্রে থাকা স্টুডিয়োটি যেমন আছে, তেমনই থাকবে। অর্থাৎ স্টুডিয়ো থেকে অনুষ্ঠান করা বা সরাসরি সম্প্রচার দুই-ই করা যাবে। তবে তা সম্প্রচারিত হবে কলকাতায় থাকা প্রসার ভারতীর চ্যানেলের মাধ্যমে।