বিক্ষোভ ঠেকাতে হাজির পুলিশ। বৃন্দাবনপুর পঞ্চায়েতের কোদমা গ্রামে রবিবার। নিজস্ব চিত্র
আবাস প্রকল্পের প্রাথমিক তালিকায় বেলিয়াতোড়ের বৃন্দাবনপুর পঞ্চায়েত এলাকার কম-বেশি বারোশো উপভোক্তার নাম ছিল। সমীক্ষার পরে তা কমে হয়েছে ছ’শো। তালিকা থেকে বাদ পড়া ওই পঞ্চায়েতের বড়কুড়া, কোদমার মতো বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দারা রবিবার বিক্ষোভ দেখান।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে বড়কুড়া গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও গ্রামীণ পুলিশের বাড়ি গিয়ে বিক্ষোভ দেখান আবাস-তালিকা থেকে বাদ পড়া অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গ্রামে যেতে হয় পুলিশকে। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা কিছু ঘটেনি। বিক্ষোভ চলাকালীন বড়কুড়া গ্রামের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, ‘‘আমার বাড়ি কাঁচা। তা-ও কী করে নাম বাদ পড়ে!’’ একই দাবি আরও অনেকের।
ঘটনার জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন বিরোধীরা। সিপিএমের বেলিয়াতোড় এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুজিত চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘আবাস যোজনার তালিকা তৈরিতে দুর্নীতি করে তৃণমূল যে আগুন জ্বেলেছে, তা গোটা তালিকা বাতিল না হলে নিভবে না। এখন যে বিক্ষোভ চলছে, তাতে তৃণমূলের একাংশ জড়িত।’’
বিজেপির বড়জোড়া ২ মণ্ডলের সহ-সভাপতি জয়গুরু ঘোষের বক্তব্য, ‘‘সমীক্ষা যত এগোচ্ছে, ততই তৃণমূলের দুর্নীতি সামনে আসছে। এখন পরিস্থিতি নিজেরাই জটিল করে ফেলেছে তৃণমূল।’’
বড়জোড়ার ব্লক তৃণমূল সভাপতি কালিদাস মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘গোটা পরিস্থিতির জন্য দায়ী বিরোধীরা। তারা চক্রান্ত করে কিছু মানুষকে উস্কানি দিয়ে এ সব কাজ করাচ্ছেন।’’
তাঁর সংযোজন, ‘‘সরকারি কর্মীদের উপরে চড়াও হওয়া আমরা দলীয় ভাবে সমর্থন করি না। তাঁরা নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও নিয়ম মেনে কাজ করেন। বিডিও অভিযোগ জানানোর জন্য ড্রপ বক্সের ব্যবস্থা করেছেন। অভিযোগ থাকলে সেখানেইজানানো দরকার।’’