ছবি সংগৃহীত।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের পরে সেপ্টেম্বর। দীর্ঘ ৮ মাস পরে শিশুদের পালস পোলিও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য এতদিন বাদ থাকলেও তার মধ্যেও মধ্যেও পালস পোলিও কর্মসূচি জরুরী পরিষেবা হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর এই কর্মসূচি পালন করা হবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কন্টেনমেন্ট জোন এলাকাতেও এই কর্মসূচি পালন করা হবে। এবং এই কর্মসূচীকে সফল করতে স্বাস্থ্য দফতর বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম জেলার মধ্যে কেবলমাত্র রামপুরহাট মহকুমায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট মহকুমায় গত জানুয়ারি মাসে সদ্যোজাত থেকে পাঁচ বছরের দেড় লক্ষাধিক শিশুকে পালস পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান জানান, এ বারেও টিকাকরণে একই লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কোভিড পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এ বারের কর্মসূচির জন্য কোনও বুথ করা হবে না। আশাকর্মী থেকে স্বাস্থ্যকর্মী এবং সমাজসেবা কর্মী যারা যারা পালস পোলিও কর্মসূচি প্রকল্পে যুক্ত আছেন, তাঁরা সকলেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা খাওয়ানোর কাজ করবেন। ট্রেন বন্ধ থাকায় স্টেশন চত্ত্বর বা সংলগ্ন এলাকায় কোনও বুথ হবে না। বাস চালু থাকায় বাসস্ট্যান্ড চত্বরে ক্যাম্প করা হবে। এ ছাড়া বাছাই করা শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চেম্বারের সামনেও ক্যাম্প করা হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ কারীদের দু’জন করে দল করা হবে। তাঁদের করোনা পরীক্ষা আবশ্যিক করা হয়েছে। দ্রুত রিপোর্ট পাওয়ার জন্য অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কর্মী নেওয়া হবে। এ ছাড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের গ্লাভস, মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার প্রতিদিন দেওয়া হবে। প্রতিদিন ভ্যাকসিন কেরিয়ার বক্সও ভাইরাস মুক্ত করা হবে।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে পালস পোলিও কর্মসূচির জন্য রামপুরহাট মহকুমার ৮টি ব্লক ও ২টি পুরসভা এলাকায় ৩ হাজার ৩০৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী, আশাকর্মী এবং সমাজসেবী কাজ করবেন। কন্টেনমেন্ট জোন এলাকায় শিশু-সহ শিশুর অভিভাবকদের পোলিও টিকা খাওয়ানোর সময় স্বাস্থ্য বিধি পালন করতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে পালস পোলিও কর্মসূচি সফল করার জন্য সমস্ত আইসিডিএস কর্মীদেরও অংশগ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।