বধূর মৃত্যুতে খুনের তদন্ত

সোমবার সন্ধ্যায় প্রতিমাদেবীর দাদা রবি মাহাতো লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দাবি করেন, তাঁর বোনকে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিবাঁধ শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০২:২৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রানিবাঁধের বাসিন্দা প্রতিমা মাহাতোর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শেষ পর্যন্ত খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করল পুলিশ।

Advertisement

রবিবার সকালে মল্লিকডাঙা গ্রামের বাসিন্দা প্রতিমাদেবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর ঘরে। ওই ঘটনার জেরে সোমবার মৃতের স্বামী বাসুদেব মাহাতো, শ্বশুর জানকী মাহাতো এবং শাশুড়ি সাবিত্রী মাহাতোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি ছিল, মৃতের পরিবারের তরফে তখন আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছিল।

পরে ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় প্রতিমাদেবীর দাদা রবি মাহাতো লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দাবি করেন, তাঁর বোনকে খুন করা হয়েছে। এর পরে পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার (খুন) মামলা রুজু করে করে। মঙ্গলবার বাসুদেববাবু এবং তাঁর বাবা-মাকে খাতড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

প্রতিমাদেবীর মৃত্যর পরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ি এলাকায়। মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির দরজার সামনেই দেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এক টানা চলে বিক্ষোভ। মৃতের পরিবারের দাবি ছিল, রবিবার অভিযোগ না নিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। যদিও পুলিশের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। প্রতিমার স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করার পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে রাত ১২ টা নাগাদ দেহ সৎকার করা হয়।

সরকারি আইনজীবী সন্দীপ চক্রবর্তী এ দিন জানান, আগামী ১৯ অগস্ট ফের ধৃতদের আদালতে তোলা হবে। আসামিপক্ষের আইনজীবী অনিমেষ মণ্ডলের দাবি ‘‘মক্কেলরা নির্দোষ। ১০ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ওই মহিলার। কিন্তু কোনও সন্তান না হওয়ার কারণে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই কারণে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। মক্কেলদের বিরুদ্ধে তোলা খুনের অভিযোগ মিথ্যা।’’

এসডিপিও (খাতড়া) বিবেক বর্মা বলেন, ‘‘আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ায় খুনের মামলা রুজু হয়েছে।’’ প্রতিমার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসেনি বলে এ দিন জানিয়েছে পুলিশ। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement