রকির দাদুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা নিষ্ক্রিয় করতে নিয়ে যাচ্ছেন বম্ব স্কোয়াডের এক সদস্য। সোমবার ধরমপুর গ্রামে। নিজস্ব চিত্র।
স্কুটারে বোমা ফেটে আহত মুকলেসুদ্দিন শেখ ওরফে রকির দাদুর বাড়ি থেকে ছ’টি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। রকির দাদুর বাড়ি নলহাটি থানার ধরমপুর গ্রামে। সোমবার বোমার খোঁজ পাওয়ার পরে বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়। তারা ফাঁকা মাঠে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে।
রবিবার দুপুরে নলহাটি থানার সরধা গ্রামের কাছে রাস্তায় বোমা ফেটে জখম হন রকি ও তাঁর সহযাত্রী রাহুল শেখ ওরফে রিয়াজ। আহত অবস্থায় রকিকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রিয়াজ অবশ্য প্রথমে পুলিশের নাগাল এড়িয়ে পালিয়ে যান। পরে রক্তের চিহ্ন ধরে তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে মাঠের ভিতরে ঝোপের মধ্যে থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, তাঁরা স্কুটারে করে বোমা নিয়ে যাচ্ছিলেন। কোনও ভাবে তা ফেটে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, পায়ের আঘাত গুরুতর হওয়ায় সোমবার ধৃতদের নলহাটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। রামপুরহাট মেডিক্যাল সূত্রে খবর, এ দিনই ধৃতদের পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রকিকে জেরা করে ও স্থানীয় সূত্রে ধরমপুর গ্রামে তাঁর দাদু ইমাম শেখের বাড়ির খোঁজ মেলে। জেরায় পুলিশ জানতে পারে রকি মাঝেমধ্যে বন্ধুদের নিয়ে তাঁর দাদুর বাড়িতে যেতেন। কয়েক বছর আগে ইমাম শেখের মৃত্যু হয়েছে। বাড়িতে দিদা একা থাকেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, রকি নেশা করতেন। নেশা সামগ্রী বিক্রির পাশাপাশি বোমাও বিক্রি করতেন।
সোমবার ভোরে নলহাটি থানার পুলিশ ধরমপুরের বাড়ি ঘিরে তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশিতে ছ’টি বোমা উদ্ধার হয়। পরে বম্ব স্কোয়াড সেগুলি নিষ্ক্রিয় করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রকির আত্মীয়দের দাবি, রকি নেশা করেন। তবে দাদুর বাড়িতে বোমা মজুত করবেন এটা অজানা ছিল। এ প্রসঙ্গে রকি ও রিয়াজের পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, বোমার মধ্যে থাকা ধাতব সামগ্রীতে ধৃতদের পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। আহত দু’জনের অস্ত্রোপচার করা হবে। কী জন্য বোমা মজুত করা হয়েছিল তার তদন্ত চলছে।