পুরুলিয়ায় সক্রিয় পুলিশ। ছবি: সুজিত মাহাতো
‘অবৈধ’ পার্কিং। দুর্গাপুজোর কেনাকাটার ভিড়। বিশ্বকর্মা পুজোর বাজার করতে পথে বেরনো জনতা। সঙ্গে ভাদু পুজো। পুরুলিয়া শহরের রাস্তা যেন জনঅরণ্য। যে দূরত্ব যেতে সময় লাগে মেরেকেটে পাঁচ মিনিট, সেই পথ পেরোতে মঙ্গলবার সময় লাগল পাক্কা পঁচিশ মিনিট।
c বাসস্ট্যান্ড মোড়, ভিক্টোরিয়া স্কুল মোড়, রাঁচি রোড-সহ এলাকায় রাস্তার উপরে দাঁড় করানো অনেক মোটর বাইক এবং ট্রাক তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে অনেক টোটো-ও। একই ভাবে পেট্রল পাম্প মোড়ের কাছে রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রিবাহী ছোটগাড়িগুলির চাকায় শিকল বেঁধে দেওয়া হয়। আটক করা হয় অনেক গাড়ি। ফুটপাত বা রাস্তা দখল করে থাকা হকারদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবারের সকালে বিটি সরকার রোড এলাকা থেকে টোটোয় চেপে হাসপাতালে এসেছিলেন শহরের বাসিন্দা পদ্মলোচন মাহাতো। তিনি বলেন, ‘‘যে পথটুকু আসতে চার-পাঁচ মিনিট লাগে, সেই পথ পেরোতে এ দিন পঁচিশ মিনিট লাগল। যে দিকেই যাচ্ছি, সে দিকেই শুধু জ্যাম।’’
পেট্রল পাম্প মোড়, ভিক্টোরিয়া স্কুল মোড়, বাসস্ট্যান্ড মোড়, হাসপাতাল মোড়, কোর্ট মোড়, হাটের মোড়, কাপড় গলির মোড়, পোস্টঅফিস মোড়ে এ দিন তীব্র যানজট ছিল।
সোমবার থেকেই শহরে ভিড় বেড়েছে। এ দিন ছিল ভাদু পুজো। আজ, বুধবার বিশ্বকর্মা পুজো। ফলে ভিড় বাড়বে বলে মনে করছে পুলিশ।
ডিএসপি (ট্র্যাফিক) জানান, এ দিন হাসপাতাল মোড়, বাসষ্ট্যান্ড মোড়, ভিক্টোরিয়া স্কুল মোড়, বিটি সরকার রোড-সহ আরও কয়েকটি রাস্তায় অভিযান চালানো হয়েছে। অবৈধ পার্কিং এবং রাস্তার উপরে ঠেলা দাঁড় করিয়ে রাখায় যানজট তৈরি হচ্ছিল। বাইকের মালিক বা আরোহীকে না পাওয়ায় তাঁদের গাড়ি তুলে আনা হয়েছে। অভিযান চলবে।
পুলিশের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শহরবাসী। পুরপ্রধান সামিমদাদ খান বলেন, ‘‘যানজট বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে। মানুষকে বুঝতে হবে, শহর অচল হয়ে পড়লে সকলেরই অসুবিধে। পুলিশ তাদের কাজ করছে।’’