রামপুরহাটের রাস্তায় ধরপাকড়। নিজস্ব চিত্র
করোনা সংক্রমণ ক্রমেই ছড়াচ্ছে। তাও হুঁশ ফিরছে না বাসিন্দাদের। মাস্ক ছাড়াই পথে বেরিয়ে পড়ছেন অনেকে। তা ঠেকাতেই সোমবার জেলা জুড়ে অভিযানে নামল পুলিশ-প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে খবর, মাস্ক না পরার জন্য এ দিন জেলায় প্রায় ৩০০০ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা হয়েছে।
এ দিন সকালে সিউড়ি সাঁইথিয়া বাইপাসের কাছে বাজারে এবং সিউড়ির এসপি মোড় এলাকায় অভিযান চালান মহকুমাশাসক রাজীব মণ্ডল। সেই সময় রাস্তা দিয়ে যাঁরা মাস্ক ছাড়া যাতায়াত করছিলেন তাঁদের পথ আটকান মহকুমাশাসক এবং সিউড়ি থানার পুলিশ কর্মীরা। তাঁদের কাছে মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাওয়া হয়। এরপরেই তাঁদের কয়েকজনকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়, কয়েকজনকে কাছাকাছি ওষুধের দোকান থেকে মাস্ক কেনানো হয়। এ দিন বিকেলেও সিউড়ি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালান মহকুমাশাসক। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এই অভিযান চলবে।’’
এ দিন দিনভর সিউড়ি শহরের বাস স্ট্যান্ড, চৈতালি মোড়, মসজিদ মোড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস্ক না পরায় এ দিন বিকেল পর্যন্ত কেবল সিউড়ি থানা এলাকায় প্রায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হয়।
এ দিন বোলপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বোলপুরের চৌরাস্তা মোড়, স্টেশন মোড়, চিত্রা মোড়, সহ একাধিক এলাকায় এবং শান্তিনিকেতন থানার পক্ষ থেকে শ্রীনিকেতন মোড়ে অভিযান চালানো হয়। রামপুরহাট শহরে এসডিপিও সৌম্যজিৎ বড়ুয়ার নেতৃত্বে পুলিশি অভিযান হয়। রামপুরহাটে দোকানদার থেকে শুরু করে পথচারী, বাসচালক, যাত্রী সকলের মুখে মাস্ক আছে কি না তা দেখা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মাস্ক না থাকায় কাউকে কাউকে কান ধরে ওঠবসও করানো হয়। মাস্ক না পরায় রামপুরহাট থানা প্রায় ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।
মহম্মদবাজার থানা ও স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং দুবরাজপুর থানা এলাকাতেও পুলিশ অভিযান চালায়। মহম্মদবাজার থানার পক্ষ থেকে প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এ দিন কীর্ণাহার চৌরাস্তার মোড়েও মাস্কহীন ব্যক্তিদের আটক করে সতর্ক করা হয়। বিলি করা হয় কিছু মাস্কও। সাঁইথিয়াতেও বিভিন্ন জায়গায় একই অভিযান চালায় পুলিশ। বিধিভঙ্গকারীদের কাছে থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, এরপরেও বিধিভঙ্গ করলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘জেলার ২৪টি থানাতেই এই অভিযান হয়েছে। এই অভিযান এখন চলবে।’’