খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

কিন্তু কেন এ ভাবে খুন হতে হল ওই যুবককে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝালদা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৩৮
Share:

শোকার্ত মা-বাবা। নিজস্ব চিত্র

রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে পুরুলিয়ার ঝালদার এক যুবককে কুপিয়ে খুনের কারণ নিয়ে বুধবারও ধন্দ কাটেনি পুলিশের। সোমবার রাতে পাটঝালদা গ্রামের ওই ঘটনায় এ দিন পর্যন্ত কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে মঙ্গলবার রাতে নিহতের বাবার লিখিত অভিযোগের উপর ভিত্তি করে একটি খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুরুলিয়ার জেলার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান বলেন, ‘‘খুনের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও আমাদের কাছে খুনের কারণ স্পষ্ট নয়। তবে কিছু কিছু সূত্র আমরা পাচ্ছি। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি আমরা ঘটনার কিনারা করে ফেলব।’’

রোজকার মতোই সকাল সকাল কৃত্তিবাস কুইরি (২৯) ও তাঁর ভাই হারাধন পাকা বাড়ির একটি ঘরে শুয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের বাবা-মা থাকতেন পাকাবাড়ির সামনে পুরনো মাটির বাড়িতে। হারাধনের দাবি, রাত ১০টা নাগাদ হঠাৎ তার দাদার চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। সেই সময়ে ঘর থেকে এক বা একাধিক লোকের বেরিয়ে যাওয়ার শব্দ পেয়েছিল সে। আলো জ্বেলে দেখে তার দাদার মাথা ও হাতে ধারাল অস্ত্রের কোপ। রাঁচীর সরকারি হাসপাতালে রাতেই নিয়ে যাওয়া হয় কৃত্তিবাসকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। মঙ্গলবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। ছেলের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে, মঙ্গলবার রাতে কৃত্তিবাসের বাবা রাধাগোবিন্দ কুইরি ঝালদা থানায় পুলিশের কাছে অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন।

Advertisement

কিন্তু কেন এ ভাবে খুন হতে হল ওই যুবককে?

পুলিশের কাছে বুধবার রাত পর্যন্ত এর কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এ দিন সকালে ঝালদা থানার পুলিশ নিহতের বাড়িতে যায়। সেখানে তদন্তকারীরা নিহতের বাবা রাধাগোবিন্দবাবু, মা চম্পাদেবী ও ভাইয়ের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন। কারও সঙ্গে কৃত্তিবাসের কোনও গোলমাল ছিল কি না, তা জানতে চান তাঁরা। কৃত্তিবাসের মোবাইল ফোনটি পুলিশ তদন্তের স্বার্থে নিয়ে যায়। যে ঘরে খুন হয়েছে, সেই ঘরটি পুলিশ তালাবন্ধ করে রাখতে বলে।

এ দিন বিকেলে গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃত্তিবাসের বাবা-মা পাকাবাড়ির সামনে বসে। কৃত্তিবাসের বাবা বলেন, ‘‘কেন ছেলেকে খুন করল বুঝতে পারছি না। তবে এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ের ঠিক করেছিলাম। পরে নানা সমস্যায় তা ভেঙে যায়। এই খুনের পিছনে সে কারণ রয়েছে কি না, জানি না। তবে পুলিশকে সব জানিয়েছি।’’ ঝালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, সব রকম সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement