সিউড়ি এসপি অফিসের সামনে আইন অমান্য। নিজস্ব চিত্র
পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হলেন জেলা বিজেপি সভাপতি। তিনি অভিযোগ তুললেন, পাড়ুইয়ে বিজেপি কর্মীদের চাপ দিয়ে তৃণমূলের পতাকা ধরতে বাধ্য করছে পুলিশ। ২০১২ সালে ক্ষমতায় এসে সে সব পুলিশ অফিসারকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুঁশিয়ারিও দেন শ্যামাপদ মণ্ডল। সোমবার সিউড়িতে।
রবিবার ফের অগ্নিগর্ভ হয় জগদ্দল-ভাটপাড়া। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের লাঠিতে দলের সাংসদ অর্জুন সিংহের মাথা ফেটেছে। তা ছাড়া ৩০ অগস্ট বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও দলের নেতা বিশ্বজিৎ দাসকে ‘হেনস্থা’রও অভিযোগ উঠেছে। সে সবের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষমা করে বিজেপি।
সোমবার রাজ্যের অন্য জেলার পাশাপাশি সিউড়িতেও পুলিশ সুপারের দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। এ দিন বিকেলে সিউড়ি সার্কিট হাউসের সামনে কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী জমায়েত হন। সেখান থেকে মিছিল করে তাঁরা এগোন জেলা পুলিশ সুপারের দফতরের দিকে।
বিজেপির ওই কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ সুপার দফতর ও জেলাশাসকের দফতর নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে লাগানো হয় ব্যারিকেড। বিজেপি কর্মীরা সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। প্রায় ১০ মিনিট ধরে পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি চলে। ওই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি জেলা সভাপতি।
এ নিয়ে জেলা পুলিশের কোনও আধিকারিক প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা যে ভাষায় কথা বলেন তা বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না। পুলিশ-প্রশাসন সরকারি ব্যবস্থার অঙ্গ, তাঁদের উপরে কারও ক্ষোভ থাকতে পারে। কিন্তু তা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জানাতে হবে। হিংসার কোন জায়গা নেই।’’