Suri

পুলিশের ভুলে জীবিত হলেন মৃত 

জীবিত ব্যক্তি মৃত হয়ে গেল পুলিশের দেওয়া ভুল তথ্যে। যদিও পরে ভুল স্বীকার করে মেসেজ পাঠায় সিউড়ি থানা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২০ ০০:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

জীবিত ব্যক্তি মৃত হয়ে গেল পুলিশের দেওয়া ভুল তথ্যে। যদিও পরে ভুল স্বীকার করে মেসেজ পাঠায় সিউড়ি থানা। ততক্ষণে রটে গিয়েছে মৃত্যুর খবর। আত্মীয় পরিজনেরা একে একে আসতেও শুরু করেছেন। বুধবার সকালে এই ঘটনা ওয়্যারলেস সেটে স্পষ্ট শুনতে না পাওয়ার বিভ্রান্তি এবং কম্পিউটারে মেসেজ কপি পেস্ট করতে গিয়ে ভুল হয়েছে বলে জানিয়েছেন বীরভূম পুলিশের কর্তারা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকরতলা থানা এলাকার কদমডাঙার বাসিন্দা শেখ ইব্রাহিম। গত সোমবার সকালে তিনি কিডনির সমস্যা নিয়ে সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। ইব্রাহিমের পরিবারের অভিযোগ, বুধবার সকালে তাঁদেরকে কাঁকরতলা থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার এসে খবর দেন যে ইব্রাহিম মারা গিয়েছেন। দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার জন্য হলা হয়। এই খবর শোনার পরে তড়িঘড়ি হাসপাতালে যান ইব্রাহিমের স্ত্রী হালিমা বিবি। হাসপাতালে পৌঁছে অবাক হয়ে যান তিনি। যে শয্যায় তাঁর স্বামীকে আগের দিন দেখে গিয়েছিলেন সেখানেই বসে বসে অন্য রোগীদের সঙ্গে গল্প করছেন তিনি। হালিমা বিবির কথায়, ‘‘ইব্রাহিম বিছানায় বসে আছে দেখে কয়েক মুহূর্ত সময় লেগেছে বিশ্বাস করতে। কাছে গিয়ে গায়ে, মাথায় হাত বুলিয়ে যখন দেখলাম ওঁর কিছু হয়নি তখন স্বস্তি পেলাম। কিন্তু ততক্ষণে আত্মীয়রা জেনেছেন যে ইব্রাহিম আর নেই। এইরকম ভুল খবর দেওয়ায় খুব হয়রানি হল আমাদের।’’ যদিও তাঁর প্রশ্ন, ‘‘জীবিত মানুষকে মৃত বানিয়ে দেওয়া হল এটা কি শুধু ভুল বলে চালিয়ে দেওয়া যায়? নাকি দুঃখ প্রকাশ করেই দায় এড়ানো যায়?’’ জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, জয়দেব মেলার জন্য সেখানেই জেলা পুলিশের সকলে ব্যস্ত। সিউড়ি থানায় এই তথ্যটি হাসপাতাল থেকে পাঠানোর সময় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার তা নথিভুক্ত করেছিলেন এবং কাঁকরতলা থানায় জানিয়েছিলেন। থানার আধিকারিকদের তা খতিয়ে দেখা উচিৎ ছিল কিন্তু মেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় নজর এড়িয়ে গিয়েছে।

এদিকে সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে শেখ ইব্রাহিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে রেফার করার কথা ভাবা হয়। কিন্তু এই বিষয়ে পরিবারের লোকের সঙ্গে আলোচনার দরকার। হাসপাতাল থেকে ওই রোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় তাঁর ঠিকানা দিয়ে সিউড়ি থানাকে জানানো হয় খবর পৌঁছনোয় সাহায্য করার জন্য। আর সমস্যার শুরু এখানেই। সিউড়ি থানা থেকে কাঁকরতলা থানায় পাঠানো মেসেজে শেখ ইব্রাহিম মৃত বলে তাঁর বাড়ির লোককে জরুরি তলব করা হয়েছে বলে জানানো হয়। কাঁকরতলা থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার সেই ভুল তথ্য বুধবার সাত সকালে গিয়ে ইব্রাহিমের বাড়িতে জানান।

Advertisement

পুলিশের গাফিলতির বিষয়টি স্বীকার করে জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘এটা একটা বড় ভুল। টাইপ করতে গিয়ে ভুল হয়েছে নাকি অন্য কারণে সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement