আইনের নানা ধারা ও সচেতনতা নিয়ে কথা বলছেন আধিকারিকেরা। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
অনেক ক্ষেত্রে পুলিশও ‘পক্সো’ ধারায় মামলা রুজু করতে গাফিলতি করছে বলে আমাদের কাছে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসে। এই বিষয়ে পুলিশকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। শনিবার বোলপুরের প্রান্তিকে একটি বেসরকারি হোটেলে রাজ্য স্তরের ‘পক্সো আইন ২০১২ ও শিশু পাচার, সুরক্ষা’ সংক্রান্ত কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বললেন পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা দফতরের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। এ দিন কর্মশালায় যোগদানকারী প্রত্যেকের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শিশু সুরক্ষার গাফিলতিগুলি উঠে আসে। এই বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে অনেক বেশি সজাগ হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়। কর্মশালায় সংশ্লিষ্ঠ দফতরের ‘হুল্লোড়’ নামক পত্রিকার দ্বিতীয় সংখ্যাও প্রকাশিত হয়।
এ দিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় রাজ্য স্তরের ‘পক্সো আইন ২০১২ ও শিশু পাচার, শিশু সুরক্ষা’ বিষয়ক কর্মশালা। ছিলেন, রাজ্য অধিকার, সুরক্ষা দফতরের চেয়ারপার্সন অনন্যা চৌধুরী, বীরভূম জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, মহকুমাশাসক শম্পা হাজরা, এসডিপিও (বোলপুর) অম্লানকুসুম ঘোষ, বর্ধমান অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক পার্থপ্রতিম দত্ত-সহ বিভিন্ন জেলার সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তা-ব্যক্তিরা।
দিনভরের এই কর্মশালায় বিভিন্ন স্থানীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকারা যোগদান করেন।
পুলিশ প্রশাসনের তরফে সকলকে এই আইন সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন করতে প্রজেক্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় ঘটে যাওয়া শিশু পাচার, শিশু নির্যাতনের ঘটনাগুলি দেখানো হয়। এ ছাড়া, এই বিষয়ে প্রতিকার, আইনি পরামর্শের সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়েও বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। যদিও, সমগ্র কর্মশালায় প্রত্যেকের বক্তব্যে উঠে আসে পক্সো আইনে মামলা রুজু করে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত প্রসঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে অনেক বেশি সক্রিয় ও সচেতন হতে হবে। বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক পার্থপ্রতিম দত্ত কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর এজলাসের একাধিক এই ধরনের মামলায় পুলিশ প্রশাসনের গাফিলতি তুলে ধরেন।
পাশাপাশি পুলিশকে এই বিষয়ে সচেতনও করেন তিনি।
রাজ্য শিশু সুরক্ষা দফতরের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অনেক ক্ষেত্রে পুলিশও ‘পক্সো’ ধারায় মামলা রুজু করতে গাফিলতি করছে বলে আমাদের কাছে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসে। এই বিষয়ে পুলিশকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। আমরা বললে পুলিশ তখন ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু, আমরা বলার আগেই পুলিশকে গুরুত্ব সহকারে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
দফতরের পক্ষ থেকে ‘হুল্লোড়’ পত্রিকার দ্বিতীয় সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটির নামকরণ করেছেন শিল্পী যোগেন চৌধুরী।