দুর্ঘটনাগ্রস্ত এই গাড়ি তোলার খরচ নিয়েই গোলমাল। নিজস্ব চিত্র
দুর্ঘটনায় পড়া একটি গাড়ির যাত্রীদের কাছে টাকা চাওয়ার অভিযোগে ‘ক্লোজ়’ করা হল ঝালদা থানার এক পুলিশকর্মীকে। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার ঝালদা থানায় কর্মরত ওই এএসআইকে (অ্যাসিস্য্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর) ‘ক্লোজ়’ করা হয়েছে। মঙ্গলবার তিনি ঝালদা থানা থেকে পুরুলিয়ায় জেলা পুলিশ লাইনে ফিরেছেন।
জেলা পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া বলেন, ‘‘ঝালদা থানার এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে দুর্ঘটনায় পড়া একটি গাড়ির যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে ক্লোজ় করে সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত রবিবার দুপুরে। কয়েকজন যাত্রী নিয়ে ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রাস্তায় ঝালদা থানার কর্মাডি এলাকায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। রাস্তার পাশে গাড়িটি পুরোপুরি উল্টে যায়। চাকা উপরে উঠে যায়। যদিও যাত্রীরা তেমন চোট পাননি বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
ঘটনাস্থল ইলু-জারগো গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। সেই সময়ে ইলু-জারগো পঞ্চায়েত এলাকায় ঢুকে পড়া হাতির একটি দলকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছিল। বনকর্মীরা ছাড়াও সেখানে ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রকাশ মাহাতো। যায় পুলিশও।
মঙ্গলবার সেই পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘‘যাত্রীরা নিজেরাই গাড়িটি তুলে দেওয়ার জন্য কিছু ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেছিলেন। সেখানে উপস্থিত থাকা স্থানীয় লোকজন ট্রাক্টর জোগাড় করে গাড়িটি তুলে দেন। এরপরে গাড়ি নিয়ে তাঁরা বেরিয়ে যান। কিন্তু টাকা চাওয়া নিয়ে কী হয়েছে জানি না।’’
অভিযোগ, গাড়িটি তুলে দেওয়ার জন্য উপস্থিত ওই এএসআই যাত্রীদের কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা দাবি করেন। পরে যাত্রীদের কোনও একটি সূত্রে সেই খবর জেলা পুলিশের কোনও কর্তার কাছে পৌঁছয়। তারপরেই ওই এএসআইয়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ জেলা পুলিশের কাছ থেকে ঝালদা থানায় পৌঁছয়।
তবে ওই যাত্রীদের সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। ওই এএসআই-ও এ নিয়ে বিশেষ মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু দাবি করেন, ‘‘যাঁরা গাড়িটি উদ্ধার করছিলেন, তাঁরাই যাত্রীদের কাছে কিছু অর্থ চেয়েছিলেন। এর বেশি আর কিছু বলতে চাই না।’’