রামপুরহাটে তেড়ে গেল পুলিশ। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
নতুন বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনেও পথে সক্রিয় রইল জেলা পুলিশ, প্রশাসন। কোথাও পুলিশ গিয়ে দোকান বন্ধ করাল। কোথাও পুলিশের কাছে বাড়ি থেকে বেরোনোর কারণ জানাতে হল সাধারণ মানুষকে। বেপরোয়া লোক দেখলে লাঠি উঁচিয়েও ছুটেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম ঝাড়খণ্ড সীমানার ১৩টি জায়গায় পুলিশের পক্ষ থেকে নাকাও চলছে। নিয়ম না মানায় ১৩০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী।
করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে কার্যত লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। রবিবার থেকে টানা ১৫ দিন স্বাভাবিক জনজীবনের উপরে সার্বিক ভাবেই নিয়ন্ত্রণ কার্যকর থাকবে বলেও রাজ্য সরকার জানিয়েছে। এ দিন সকাল ১০টা বাজতে সিউড়ি শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সামান্য কিছু দোকানপাট খোলা ছিল। পরে পুলিশ গিয়ে সেগুলিও বন্ধ করে দেয়। শহর জুড়ে পুলিশের টহলদারিও চলে। কোথাও কেউ দাঁড়িয়ে থাকলে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়। প্রয়োজনে তাঁদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
একই ছবি ছিল দুবরাজপুরে। সেখানে সকাল ১০টা বাজতে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়। সেখানে পথ চলতি মানুষকে বাড়ি থেকে বেরোনোর কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়। কেউ মাস্ক না পরে থাকলে তাঁদেরকেও পুলিশের ভর্ৎসনার মুখে পরতে হয়। তবে, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিষ্টির দোকান সকাল ১০ থেকে পাঁচটা পর্যন্ত খোলার থাকার নির্দেশ রয়েছে। সেই মতো দুবরাজপুরে শহরে সকাল থেকে বেশ কিছু মিষ্টির দোকান খোলা ছিল। একই চিত্র রামপুরহাটে। সেখানেও পুলিশের পক্ষ শহর জুড়ে টহল দেওয়া হয়। তবে, রামপুরহাটেও লকডাউন সময় হওয়ার পরেও কিছু কিছু জায়গায় ভিড় দেখা যায়। পরে সেখানে পুলিশ গেলে সেই ভিড় ফাঁকা হয়ে যায়। এ ছাড়া রামপুরহাট সংশোধনাগারের সামনেও কয়েক জনকে জমায়েত করতে দেখে পুলিশ। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয়। পুলিশ দু’জনকে আটকও করে। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তুলনায় কিছু ভিন্ন চিত্র বোলপুরে। সকাল ১০টা বেজে যাওয়ার পরেও শহরের বেশ কিছু দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা যায়। তা ছাড়া প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে রাস্তাঘাটে লোকজন বেশি ছিল বলে অনেকের মত। সাড়ে দশটা বাজতে পুলিশের পক্ষ থেকে দোকান বন্ধ করানো হয়। শহরের একাধিক জায়াগায় পুলিশ ব্যারিকেডও ছিল। মহম্মদবাজারেও পথে ছিল পুলিশ। নির্দিষ্ট সময়ের পরে রাস্তায় থাকলে দিতে হয়েছে জবাবদিহিও।