আধারকার্ড করতে টাকা, ধৃত পাঁচ

আধারকার্ড তৈরির জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ছবি তোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার দুই কর্মী-সহ পাঁচ যুবককে হাতেনাতে ধরলেন ব্লকের এক আধিকারিক। বিডিও-র অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সিমলাপাল ব্লক অফিসে বুধবার দুপুরের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিমলাপাল শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৫ ০১:২০
Share:

আধারকার্ড তৈরির জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ছবি তোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার দুই কর্মী-সহ পাঁচ যুবককে হাতেনাতে ধরলেন ব্লকের এক আধিকারিক। বিডিও-র অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সিমলাপাল ব্লক অফিসে বুধবার দুপুরের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বুম্বা কুণ্ডু, মানসকুমার নায়েক, আব্দুল মোজ্জাফর মণ্ডল, তীর্থ দাস ও শান্তনু সিংহ মহাপাত্র। তাদের সকলেরই বাড়ি সিমলাপালে।

Advertisement

সিমলাপালের বিডিও সৌম্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আধারকার্ড তৈরির কাজে যুক্ত এজেন্সির কয়েকজন কর্মী টাকার বিনিময়ে অনৈতিক কাজ করছেন বলে অভিযোগ আসছিল। ছবি তোলার সময় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৫০–৬০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে খবর পেয়েছিলাম। এমন অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিককে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছিলাম। ব্লকের ন্যূনতম মজুরি পরিদর্শক সত্যজিৎ সেন এ দিন ওই কাজের সঙ্গে জড়িত একজনকে প্রথমে হাতেনাতে ধরেন। পরে ওই চক্রের আরও চারজনকে ধরা হয়। পুলিশের কাছে ওই পাঁচজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।”

প্রশাসন সূত্রের খবর, বেসরকারি একটি সংস্থা আধারকার্ড তৈরির কাজ করছে। সিমলাপাল ব্লক এলাকায় শিবির করে নির্দিষ্ট দিনে আধারকার্ডের ছবি তোলার প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে নির্দিষ্ট দিনে যাঁরা আধারকার্ড তৈরির জন্য উপস্থিত থাকতে পারেননি তাঁদের ব্লক অফিসে যোগাযোগ করে এই কার্ড তৈরির জন্য বলা হয়। অভিযোগ, এই কার্ড তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সির চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা আধারকার্ডের জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন।

Advertisement

আধারকার্ড দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সিমলাপাল ব্লকের এক আধিকারিক দাবি করেন, “গত কয়েকদিন ধরেই আধারকার্ডের জন্য আসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৫০-৬০ টাকা করে আদায় করছিলেন কয়েকজন যুবক। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা নজরদারি শুরু করেছিলাম। সেই সময় একজনের কাছ থেকে ৫০ টাকা নিয়ে আধারকার্ডের টোকেন দেওয়ার সময় আব্দুল মোজ্জাফর মণ্ডল নামে একজনকে ধরা হয়। তাকে জেরা করার পরেই ছবির তোলার কাজে যুক্ত বেসরকারি এজেন্সির কর্মী বুম্বা কুণ্ডু ও মানসকুমার নায়েকের নাম জানা যায়। এরপরেই ওই দু’জনকে ডেকে পাঠানো হয়। টাকার বিনিময়ে আধারকার্ডের টোকেন সরবরাহের অভিযোগে মোট পাঁচজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”

বিডিও বলেন, “সাধারণ মানুষকে সরকারি ভাবে বিনা পয়সায় আধারকার্ড দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ওই কার্ড দেওয়ার বিনিময়ে সামান্য কিছু টাকা নেওয়াটাও অপরাধ। সেই কারণেই তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে” জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “বিডিও-র অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে।” চেষ্টা করেও ওই পাঁচজনের সঙ্গে বা সংস্থার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement