সোহিনী সূত্রধর। — নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের আইটি সেলের নেত্রী তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল তৃণমূলের ব্লকের কার্যকরী সভাপতিকে। এই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুরে। গত রবিবার নিজের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল দুবরাজপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোহিনী সূত্রধরের দেহ। ওই ঘটনায় হেতমপুর ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অভিনিবেশ রায়ের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করে সোহিনীর পরিবার। সেই কাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টা পর গ্রেফতার করা হয়েছে অভিনিবেশকে।
রবিবার সোহিনীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর অভিনিবেশের বিরুদ্ধে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর বাবা গজানন সূত্রধর। সেই সময় তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গিয়েছে। সোহিনীর বান্ধবী এসে তখন আমাদের বাড়িতে এসে আমার মেয়ের খোঁজ করছিল। ওকে অভিনিবেশই পাঠিয়েছিল। ও একটা দুর্বৃত্ত। আমি অভিনিবেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি পুলিশের কাছে।’’ সোহিনীর দিদি অঙ্কনা সূত্রধর আবার দাবি করেছেন, সোহিনী এবং অভিনিবেশ রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেছিল।
এই ঘটনা নিয়ে দুবরাজপুর শহর তৃণমূল সভাপতি স্বরূপ আচার্য বলেন, ‘‘আমরা চাই, সোহিনীর মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটিত হোক। সত্যি কেউ অপরাধ করে থাকলে আমরা তার শাস্তি চাই।’’ তবে এ নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।
দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, ‘‘অভিনিবেশের বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অভিযোগ উঠেছে। তার রেকর্ড খতিয়ে দেখা উচিত পুলিশের। দল তাকে বহিষ্কার করেনি। উপযুক্ত তদন্ত করে তার কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।’’ পরিবারের অভিযোগ মোতাবেক ওই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী।