Amartya Sen

‘অশুভ শক্তি’ অপমান করছে অমর্ত্যকে! দাবি তুলে মশাল মিছিলে শান্তিনিকেতনের স্থানীয়রা

স্থানীয়দের দাবি, অমর্ত্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলতে থাকা জমি জটিলতা আইনি ভাবে না মিটিয়ে নিগ্রহ করা হচ্ছে নোবেলজয়ীকে। যা একেবারেই কাম্য নয় বলে তাঁদের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৩ ২০:৫২
Share:

স্থানীয়দের দাবি, অমর্ত্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলতে থাকা জমি জটিলতা আইনি ভাবে না মিটিয়ে নিগ্রহ করা হচ্ছে নোবেলজয়ীকে। নিজস্ব চিত্র।

অমর্ত্য সেনকে লাগাতার অপমান করছে কিছু ‘অশুভ শক্তি’। এই দাবি তুলে প্রতিবাদ জানাতে সোমবার বিকেলে মশাল মিছিল করলেন বোলপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন শাসকদল তৃণমূলের কাউন্সিলাররাও। শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটি এলাকা থেকে শুরু করে বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদের বাড়ি ‘প্রতীচী’ পর্যন্ত যায় এই মশাল মিছিল।

Advertisement

স্থানীয়দের দাবি, অমর্ত্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলতে থাকা জমি জটিলতা আইনি ভাবে না মিটিয়ে নিগ্রহ করা হচ্ছে নোবেলজয়ীকে। যা একেবারেই কাম্য নয় বলে তাঁদের মত। পাশাপাশি, অমর্ত্যকে এই ভাবে হয়রান করার পিছনে কোনও ‘অশুভ শক্তি’ কাজ করছে বলেও দাবি করেছেন স্থানীয়রা। অমর্ত্যকে নিগ্রহ করা বন্ধ না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিগত কয়েক দিন ধরে লাগাতার কদর্য ভাষায় অমর্ত্য সেনকে অপমান করা হচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে কিছু ‘অশুভ শক্তি’। আসলে রবীন্দ্র ভাবনাকেই মুছে ফেলার প্রচেষ্টা চলছে। এর প্রতিবাদে আমরা প্রায়ই মিছিলের আয়োজন করব।’’

Advertisement

সম্প্রতি নোবেলজয়ী অমর্ত্যকে জমি খালি করার বিষয়ে অন্তিম সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। গত ১৯ এপ্রিল রাতে ১৫ দিনের মধ্যে জমি খালি করতে বলা হয়েছে অমর্ত্যকে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে জমি খালি করা না হলে বলপ্রয়োগেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীর তরফে। সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৫ মে। ৬ মে অমর্ত্যের বা়ড়ির সামনে জমায়েত করার কথাও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement