River Dam

বাঁধের কাজ শুরু হয়নি, চিন্তায় নদ ঘেঁষা রতনপুর

খয়রাশোল ব্লকের কেন্দ্রগড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকার রসিদপুর সংসদে রয়েছেন অজয় ঘেঁষা রতনপুর শম্ভুনাথ কলোনির বাসিন্দারা। বর্ষায় তাঁদের দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ নদের ভাঙন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খয়রাশোল শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৩১
Share:

খয়রাশোলের অজয় নদ ঘেঁষা রতনপুর শম্ভুনাথ কলোনির বাসিন্দাদের দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নদের ভাঙন। —ফাইল ছবি।

সেচ দফতরের দাবি ছিল, অজয় নদের ভাঙন রুখতে গত নভেম্বরেই বাঁধ সংস্কারের কাজ শরু হবে নদ ঘেঁষা খয়রাশোলের রতনপুর এলাকায়। কিন্তু, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ার পরও কাজে হাত পড়েনি বলে জানাচ্ছেন এলাকার মানুষ। সেচ দফতরের দাবি, জলস্তর যে পর্যায় পর্যন্ত নামলে বাঁধের কাজ শুরু করা সম্ভব, সেই পর্যন্ত জল এখনও নামেনি। ফলে, কাজে বিলম্ব হচ্ছে।

Advertisement

খয়রাশোল ব্লকের কেন্দ্রগড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকার রসিদপুর সংসদে রয়েছেন অজয় ঘেঁষা রতনপুর শম্ভুনাথ কলোনির বাসিন্দারা। বর্ষায় তাঁদের দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ নদের ভাঙন। এলাকাবাসীর দাবি, কয়েক বছর ধরে অজয়ের ভাঙনে নদের ধার বরাবর অন্তত ১৫০ ফুট কৃষিজমি তলিয়ে গিয়েছে। তাঁরা জানান, গত বছর অক্টোবরে টানা বৃষ্টির সময় ঝাড়খণ্ডের বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় একই সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অজয় ও হিংলো নদের মধ্যবর্তী এলাকায় বেশ কিছু এলাকা রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। রতনপুর কলোনি সেগুলির অন্যতম। সেখানে ৭০টি পরিবারের বাস।মূলত কৃষিজীবী তাঁরা। অজয় ঘেঁষা জমিতে কয়েক দশক ধরে ধান, সর্ষে, বাদাম ও নানাবিধ আনাজ চাষ করেন ওই কৃষিজীবীরা। কিন্তু, সেই জমিই গিলে ফলছে নদ। সেই সমস্যা এড়াতেই ওই এলাকার ৫০০ মিটার নদীবাঁধ বোল্ডার দিয়ে বাঁধানোর সিদ্ধান্ত নেয় সেচ দফতর। বরাদ্দ হয়েছে ৮৮ লক্ষ টাকা।

Advertisement

কিন্তু, কাজে এখনও হাত না-পড়ায় হতাশ স্রতনপুরের বাসিন্দা বাসুদেব মণ্ডল, শম্ভু সরকার, হরেন সরকার, নৃপেন শিকদারেরা। তাঁদের আশঙ্কা, বেশি দেরি করলে তো ফের বর্ষা এসে যাবে। তাঁরা জানান, প্রধান দু’টি সমস্যা তাঁদের। সেচ দফতর নদী বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ না-করায় ভাঙনে জমি চলে যাচ্ছে অজয়ে। অন্য দিকে নদী ঘেঁষা যে জমি ৯৯ বছরের জন্য পাট্টা পেয়েছেন, সেটি ‘বালিচাপা’ জমি হিসাবে চিহ্নিত। বাসুদেবরা বলেন, ‘‘জমির শ্রেণি পরিবর্তন হয়নি বলে আমরা রাজ্য বা কেন্দ্র, কোনও সরকারের ফসল বিমার সুবিধা পাচ্ছি না।’’ কেন্দ্রগড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কেয়া দাস বলেন, ‘‘শুনেছি রসিদপুর সংসদে নদীবাঁধ সংস্কারের কাজ হবে। কিন্তু, সেচ দফতর আমাদের কিছু জানায়নি। আমরা দফতরকে চিঠি দিয়ে কী কাজ, কত টাকার কাজ, কবে শুরু ও শেষ হবে, তা জানতে চেয়েছি।’’

সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (বোলপুর) শিবনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘রতনপুর এলাকায় প্রায় ৫০০ মিটার নদী বাঁধ বোল্ডার দিয়ে বাঁধানোর কাজ এতদিনে শুরু হয়ে যেত। কিন্তু, অজয় নদে জলস্তর যে জায়গা পর্যন্ত নামলে কাজ শুরু করা যায়, তা হয়নি। দিন কয়েক আগেই আমি এলাকা পরিদর্শন করেছি। অজয় বীরভূমের দিকে সরে আসায় এখনও জল রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement